





চলচ্চিত্রের গল্প পছন্দ করার পরে অভিনয় করার ব্যাপারে একটুও ছাড় দেন না সাবা। দেবেনই বা কেনো?






দিন শেষে দর্শক গল্পটাইতো মনে রাখে। তাই তার সোজাসাপ্টা কথা, ’গল্প মন ছুঁতে না পারলে, আমি কখনই কাজ করি না।’






সম্প্রতি ’পাপ কাহিনী’ নামে নতুন একটি ছবিতে অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন ’আয়না’খ্যাত এই অভিনেত্রী।






খুব শিগগিরই শেষ হবে তার ’আব্বাস ওটু’ ছবির শ্যুটিং। এছাড়াও কলকাতার ছবি নিয়েও রয়েছে তার ব্যস্ততা। পাশাপাশি নিয়মিত কাজ করছেন ছোট পর্দায়।
একদুপুরে আড্ডায় বাংলানিউজের সঙ্গে সবকিছু নিয়েই কথা বলেন প্রশংসিত অভিনেত্রী সোহানা সাবা।
অভিনেতা ও আলোচিত উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয় কিছুদিন আগে নিজের তৃতীয় ছবি নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলেন। তখন ছবিটিতে সোহানা সাবার চুক্তিবদ্ধ হওয়ার বিষয়টিও জানান তিনি। ’পাপ কাহিনী’ নামের ছবিটির নির্মাণ হবে চলচ্চিত্রের মানুষদের জীবনের গল্প নিয়ে। আগামী ২৮ এপ্রিল এর শ্যুটিং শুরু হবে। এতে সাবা ছাড়াও রয়েছেন ইমন, এ বি এম সুমন ও তমা মির্জা
সাবা বলেন, ’পাপ কাহিনী’ সিনেমার নায়িকার চরিত্রেই আমি অভিনয় করছি। দর্শক ছবিতে চরিত্রটির উথান-পতনের নানা গল্প দেখতে পাবে। তবে গল্পটি একটু অন্যভাবে বানানো। যেখানে নায়ক-নায়িকার সম্পর্কের বিষয়টি গতানুগতিক ধারায় দেখানো হবে না। তাই এতে কাজ করার ব্যাপারে আমি বেশ উচ্ছ্বসিত
’আয়না’, ’খেলাঘর’, ’প্রিয়তমেষু’, ’চন্দ্রগ্রহণ’ ও ’বৃহন্নলা’ ছবিগুলোতে দক্ষ অভিনেত্রী হিসেবেই নিজেকে মেলে ধরেছেন তিনি। তবে এই ছবিগুলোর মধ্যে গতানুগতিক ধারার নাচ-গান বা মারামারির উপাদান ছিলো না বললেই চলে। যেগুলোকে বাণিজ্যিক ধারার বাহিরের ছবি বলা হয়।
তবে বহু বছর পর প্রথমবার বাণিজ্যিক ছবিতে নাম লিখিয়েছেন সাবা। সাইফ চন্দন পরিচালিত ছবিটির নাম ’আব্বাস ওটু’। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করছেন নিরব।
সাবার ভাষ্য, ’এটি পুরো ফর্মুলা সিনেমা। নাচ-গানে ভরপুর সিনেমা বলতে যেটিকে বোঝায়। আমার চরিত্রটিও সেভাবে সাজানো। তবে বাণিজ্যিক ছবি হলেও আমার বিশ্বাস, এর গল্প বলার ধরণটি অন্য ছবিগুলোর সঙ্গে কেউ মেলাতে পারবে না। আর এই ভিন্নতার কারণেই বাণিজ্যিক হলেও এতে কাজ করছি।
অল্পকিছু সিকোয়েন্স ও গানের শ্যুটিং শেষ হলেই শুরু হবে ছবিটির ডাবিংয়ের কাজ। চলতি বছরেই ’আব্বাস ওটু’ মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এই দুটি ছবি ছাড়াও নতুন আরও কয়েকটি ছবিতে সাবার অভিনয়ের কথা চলছে। ’বাংলাদেশ ও ভারতীয় বেশকিছু ছবির নির্মাতাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। এরমধ্যে কয়েকটি ছবির খবর হয়তো খুব শিগগিরই দিতে পারবো। তবে এখনই কিছু বলতে চাচ্ছি না।’
একই ধরণের চরিত্রে বারবার অভিনয় করতে একদমই পছন্দ করেন না সাবা। তবে যখনই যে চরিত্রে তিনি অভিনয় করেন, তখন সে চরিত্রের মতোই নিজে মনে করেন তিনি।
হাস্যোজ্জ্বল এই অভিনেত্রী বলেন, ’পর্দায় আমার একটি চরিত্রের সঙ্গে অন্য চরিত্রের কোন মিল নেই। প্রতি কাজে নতুন চরিত্রে নিজেকে নতুনভাবে উপস্থাপন করেছি। তবে আমি বাস্তব জীবনে যেমনি মিথ্যা বলি না। তেমনি আমি বিশ্বাস না করলে, ক্যামেরার সামনে একটি সংলাপও বলি না। আমি যখন যে চরিত্রে অভিনয় করি তখন আমি সেই চরিত্রের মানুষটিই হয়ে যাই।’
আঞ্চলিক কথা বলতে পারেন না সাবা। তাই আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলতে হয়, এমন চরিত্র তিনি এড়িয়ে চলেন। তিনি বলেন, ’প্রমিত ভাষা কথা বলতে বা অভিনয় করতে আমি খুব স্বাছন্দ্যবোধ করি। কারণ আমি আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলতে পারি না। যারা আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলেন বা তেমন চরিত্রে কাজ করেন তাদের আমি মন থেকে সম্মান জানাই। কিন্তু আমার ভাণ্ডারে এতো ভাষা নেই। তাই প্রমিত বাংলা ভাষা ছাড়া আমি কথা বলতে পারি না।’