





বলিউড কিংবা হলিউডে অসম বিয়ে অহরহ হচ্ছে। বিয়ে দুটি মানুষের মনেরও মেলবন্ধন। মনের






মেলবন্ধন হলে বয়সে কি আসে যায়। আমাদের দেশি শোবিজ অঙ্গনে এমন অনেক তারকা আছেন,






যাদের বিয়েটা একটু অসম বয়সই বলা যায়। সেই তারকাদের গল্প তুলে ধরা হলো: হুমায়ূন আহমেদ- শাওন






২০০৪ সালের ১২ ডিসেম্বর হুমায়ূন আহমেদ ও শাওন বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ১৯৯০ সালের মধ্যভাগ থেকে মেয়ে শীলার বান্ধবী এবং তার বেশ কিছু নাটক-চলচ্চিত্রে অভিনয় করা অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওনের সঙ্গে হুমায়ূন আহমেদের ঘনিষ্ঠতা জন্মে। হুমায়ূন-শাওনের সংসারে ৩ সন্তান জন্মগ্রহণ করে। প্রথম মেয়েসন্তান ভূমিষ্ট হওয়ার পর মারা যায়। বর্তমানে হুমায়ূন-শাওন দম্পতির দুই ছেলে নিষাদ ও নিনিত। দুজনের বয়সের ব্যবধান ৩২ বছর। এই অসম বিয়ে নিয়ে আলোচনা- সমলোচনা কম হয়নি। হুমায়ূন আহমেদ তাঁর প্রথম স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়ে শাওনকে বিয়ে করেন। এতসবের পরে তাদের সংসার জীবন সুখের ছিল। হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুর আগ পর্যন্ত শাওন আগলে রেখেছিলেন সংসার।
সুবর্ণা মুস্তফা – বদরুল আনাম সৌদ
২০০৮ সালের ৭ জুলাই গোপনে দ্বিতীয় বিয়ে করেন অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফা। সেই খবর যতটা না সুবর্ণার দ্বিতীয় বিয়ে হিসেবে আলোচিত, তার থেকে বেশি আলোচিত ছিল অসম বিয়ে করার কারণে। নিজের থেকে বয়সে অনেক ছোট নির্মাতা বদরুল আনাম সৌদকে বিয়ে করেছিলেন তিনি। অভিনেতা হুমায়ূন ফরীদিকে ছেড়ে তিনি সৌদের হাত ধরেন। এ কারণেও অনেকে সুবর্ণাকে ভালো চোখে দেখেননি। তাদের সংসার নিয়ে ফিসফাসফিস হয় প্রায়ই, সুবর্ণার অসম সংসার ভাঙছে। কিন্তু বাইরের চোখ তো বলে তারা ভালো আছেন।
হৃদয় খান – সুজানা জাফর
হৃদয়ের চেয়ে বয়সে দুই বছরের বড় সুজানা। কিন্তু সংসারের সময়টা খুব বেশিদিন টেকেনি। ২০১৫ সালের ১ আগস্ট মডেল সুজানাকে বিয়ে করেন হৃদয়। এরপর ২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়। এ নিয়ে বলেছেন, ’এক একটা মেয়েকে বিয়ে করে, কদিন গেলে পরে ওর আর ভালো লাগে না। নানাভাবে প্রতিষ্ঠা করতে চেষ্টা করে মেয়েটি ভালো না। ওর সঙ্গে সংসার করা যায় না। এমনটা আমার সঙ্গে করেছে। আমার আগে পূর্ণিমার সঙ্গে করেছে। আসলে ও এখনো সংসার করার জন্য ম্যাচিউরড না’।
রায়হান খান- নোভা
২০১১ সালের ১১ নভেম্বর ক্যামেরার সামনের ও নেপথ্যের এ দুই শিল্পীর বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। গত বছরের ২৬ আগস্ট ঢাকা জজকোর্ট কাজী অফিসে তালাকনামায় স্বাক্ষর করেছেন তারা। দুজনের বনিবনা হওয়ার সঙ্গে বয়সের তফাৎটাও নাকি বিবাহ- বিচ্ছেদের কারণ বলে জানা যায়।
সালমা- শিবলী সাদিক
২০১১ সালের ২৬ জানুয়ারি দিনাজপুরের পিকনিক স্পট স্বপ্নপূরীর স্বত্বাধিকারী শিবলী সাদিকের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন কণ্ঠশিল্পী সালমা। এরপর ২০১৪ সালের ১ জানুয়ারি সালমার প্রথম সন্তান জন্ম নেয়। জানা যায়, আঠারো বছর পেরুনোর আগেই সালমা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এ সংসার ভাঙ্গার পেছনেও অর্থনৈতিক কারণ রয়েছে বলে পরবর্তীতে জানা যায়।
বাঁধন- মাশরুর
ভালোবেসেই বিয়ে করেছিলেন লাক্স তারকা আজমেরি হক বাঁধন। নিজের বয়সের থেকে প্রায় বিশ বছরেরও বড় তার স্বামী মাশরুর সিদ্দিকী সনেট। বাঁধনের ভাষায়, আমার মা আমার চেয়ে ১৭ বছরের বড়। আর সনেট ছিলো আমার মায়ের থেকেও বড়। স্রেফ সার্টিফিকেটেই আমার চেয়ে বিশ বছরের বড় সে। তবুও তাকে বিয়ে করেছিলাম ভালোবেসেছিলাম বলে। মনে হয়েছিলো সে একজন সুখী সংসারী মানুষ হবে। কিন্তু সেই ধারণা আমার ভুল ছিলো।’ ২০১০ সালের ৮ সেপ্টেম্বর হঠাৎ করেই ব্যবসায়ী মাশরুর সিদ্দিকীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ২০১৪ সালের ২৬ নভেম্বর আনুষ্ঠানকিভাবেই বিচ্ছেদ হয়েছে বাঁধন ও মাশরুর সিদ্দিকীর। পরবর্তীতে অর্থনৈতিক সমস্যাই এর মূল কারণ হিসেবে দুজনে মিডিয়ায় মুখ খোলেন।