





কম বয়সেই বলিউডে সাফল্যের চূড়ায় উঠেছেন আলিয়া ভাট। প্রথম ছবি ‘স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার’






মুক্তির পরপরই প্রথম সারির তারকা বনে যান। দ্রুতই ফুলে-ফেঁপে উঠে তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট।






ক্যারিয়ারের উত্থানের সঙ্গে ক্রমশ বিচক্ষণ হয়ে উঠেছেন মহেশ ভাটের মেয়ে। তার আর্থিক পরিকল্পনাও সেই কথাই বলে।






সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে আলিয়া জানান, তিনি হিসেবি জীবনযাপন পছন্দ করেন। বলেন, “আমি নির্দিষ্ট বাজেটের মধ্যে থাকতে পারি। আমি তত বেশি খরচ করি না। আমার চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট তো প্রায়শই বলেন, কেন আমি আরও খরচ করি না?”
ছোটবেলা থেকেই আলিয়া মিতব্যয়ী। তখন মা-বোনের সঙ্গে লন্ডনে ছুটি কাটাতে যেতেন। সেখানে প্রাইমার্ক নামক একটি স্টোরে যেতেন। ব্রিটেনের কম দামের দোকান হিসেবে সেটি পরিচিত। সেখানে ৫-৬ পাউন্ডের জিনিস কিনতেন। এখনো সেই দোকান থেকেই পায়জামা কেনেন আলিয়া।
তিনি বলেন, “আমি এখনো প্রাইমার্ক থেকে জামা কিনি। তো কি? ওগুলো পায়জামা। কী আলাদা হতে পারে?”
আলিয়া জানান, মিতব্যয়ী হলেও আর্থিক বিষয় নিয়ে খুব একটা ধারণা নেই। তবে বিষয়গুলো শেখার চেষ্টা করছেন। মিউচুয়াল ফান্ড, বন্ড ও ফিক্সড ডিপোজিটে বিনিয়োগ করেন। বলেন, “আমি বিনিয়োগের বিষয়ে বুঝি না। তবে এখন আমি তা জানতে আরও আগ্রহী। জুহুর বাড়িটা আমার কেনা প্রথম সম্পত্তি।”
তবে মাঝেমধ্যে বেশি খরচও করে ফেলেন বলে জানান আলিয়া। শৌখিন ব্যাগ ও জিমের পোশাক কেনেন। তিনি বলেন, “আমি প্রথম দামি যে জিনিসটা নিজের টাকায় কিনেছিলাম, তা হলো একটি লুই ভিটো ব্যাগ। আমি ব্যাগের জন্য সবচেয়ে বেশি খরচ করি। আমি ওগুলো খুব ভালোবাসি। আর জিমের পোশাক।”
পাশাপাশি, ছুটি কাটাতেও ভালোবাসেন আলিয়া। তিনি বলেন, “আমি ছুটির সময়ও টাকা খরচ করি। তবে বছরে একটা ছুটি কাটাও – নতুন বছরের সময়। দর্শনীয় স্থান ও হোটেলের পেছনে খরচ করি। ছুটি কাটানোর সময় আমি শপিং করতে একদম পছন্দ করি না।”
দামি ইচ্ছার কথাও জানান আলিয়া। তিনি বলেন, “একটা প্রাইভেট জেটটা লাক্সারি হবে। আমার একটা চার্টার্ড ফ্লাইট আছে। তবে ছুটির জন্য নয়। পাহাড়ে বাড়ি তৈরি করা আমার স্বপ্ন। পরে সেই স্বপ্ন পূরণ করব। লন্ডনে বাড়ি কেনার স্বপ্নও ছিল। ২০১৮ সালে তা পূরণ করেছি।”
চলতি বছর মুক্তি পাবে আলিয়া অভিনীত ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ ও ‘সড়ক টু’। অতিথি চরিত্রে আছেন দক্ষিণ ছবি ‘আরআরআর’-এ। বর্তমানে হাতে আছে সঞ্জয়লীলা বানসীলার ‘গাঙ্গুবাঈ’।