





চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে






দায়িত্ব পালন করছেন। এবারের নির্বাচনে নিরাপত্তা দিতে র্যাব ও পুলিশের কঠোর নজরদারি ছিল






এফডিসি এলাকাজুড়ে। কঠোর নিরাপত্তার মধ্যেও কয়েকটি অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া গেছে।






প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেন অভিনেতা সোহেল রানা। তিনি বলেন, ইলিয়াস কাঞ্চনের জ্ঞানের অভাব রয়েছে। তার এই দায়িত্ব নেয়া ঠিক হয়নি।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) রাত সাড়ে আটটার সময় বিডি২৪লাইভকে এই ভাবে কথাগুলো বলছিলেন অভিনেতা সোহেল রানা।
এসময় তিনি বলেন, আমি যখন সকাল ১১টার দিকে গেটে আসলাম আমাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে পরিচয় নেয়া হয়। এবং আমার কাছে নির্বাচনি কার্ড আছে কিনা সেটা জানতে চাওয়া হয়। আমি পরিচালাক সমিতির সদস্য আমি সোহেল রানা এটাই আমার তো আইডি। আমার সাথে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর এমন আচরণ খুবই দুঃখ জনক। গত ৪০ বছরে আমি এমন নুংরা রাজনীতি দেখি নি। এটা তো জাতীয় নির্বাচন না, তাহলে কেন এত পুলিশ বাহিনী। নিজেদের স্বার্থের জন্য এমন নিরাপত্তা দেয়াকে আমি সার্পোট করিনা। আমি যখন ভোট দিতে বুথে প্রবেশ করবো ঠিক তখনই আমার তল্লাশী করা হয়েছে। আমি অবাক এমন ঘটনার জন্য।
তিনি বলেন, পুরো এফডিসি প্রাঙ্গণকে পুলিশ-র্যাব দিয়ে ঢেকে দেয়ার মানে টা কি? আর যারা নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত ছিলেন আমি তাদের কাছে প্রশ্ন রাখছি, আপনারা কি জানেন নিরাপত্তা কাকে বলে? আপনাদের এমন ব্যবহারের সাহস কে দিয়েছে?
সোহেল রানা বলেন, শিল্পীরা কখনো হারে না, আবার জিতেও না। তারা সবসময় একরকম থাকে। সকালে জোয়ার আবার বিকালে ভাটা। এই হলো শিল্পীর জীবন। এটা তো নির্বাচন না, এটা একটা আনন্দ উৎসব। নির্বাচনে জয়ী হয়ে যেই আসুক তাকে চলচ্চিত্রের উন্নয়নের জন্য কাজ করতে হবে। আর যদি সে সাহস না থাকে তাহলে সেটা শিখে নিতে হবে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯-২১ মেয়াদের নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪৪৯। এ নির্বাচনে সভাপতি পদে মিশা সওদাগরের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মৌসুমী। সহ-সভাপতির দুটি পদে রুবেল ছাড়াও প্রার্থী হয়েছেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল ও নানা শাহ। সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানের প্রতিদ্বন্দ্বী ইলিয়াস কোবরা। সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে লড়ছেন আরমান ও সাংকো পাঞ্জা।
সাংগঠনিক সম্পাদক পদে অভিনেতা সুব্রতর বিপরীতে কোনো প্রার্থী নেই। আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে লড়ছেন নূর মোহাম্মদ খালেদ আহমেদ ও চিত্রনায়ক ইমন। দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক পদে একাই রয়েছেন জ্যাকি আলমগীর। সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে লড়ছেন জাকির হোসেন ও ডন। কোষাধ্যক্ষ পদে অভিনেতা ফরহাদের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। অর্থাৎ সুব্রত, জ্যাকি, আলমগীর ও ফরহাদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
নির্বাচনে কার্যকরী পরিষদ সদস্যের ১১টি পদের জন্য প্রার্থী হয়েছেন ১৪ জন। তারা হলেন, অঞ্জনা সুলতানা, রোজিনা, অরুণা বিশ্বাস, আলীরাজ, আফজাল শরীফ, বাপ্পারাজ, রঞ্জিতা, আসিফ ইকবাল, আলেকজান্ডার বো, জেসমিন, জয় চৌধুরী, নাসরিন, মারুফ আকিব ও শামীম খান (চিকন আলী)।