





চলচ্চিত্র নির্মাতা, পরিচালক, প্রযোজক ও অভিনেতা কাজী হায়াৎ দীর্ঘদিন যাবৎ অসুস্থ।






হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত এই চলচ্চিত্র পরিচালক-প্রযোজক উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে অনুদান পেয়েছেন।






কাজী হায়াৎ আর্থিক সহযোগিতা চেয়ে আবেদন করলে গত ৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রী






শেখ হাসিনা তাকে ১০ লাখ টাকার অনুদান দেন। আর তারপর থেকেই শুরু হয়েছে সমালোচনা। কাজী হায়াৎ-এর মতো একজন পরিচালককে কেন প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে অনুদান নিতে হবে- এমন প্রশ্ন তৈরি হয়েছে অনেকের মনে। কিন্তু জনপ্রিয় এ নির্মাতা মনে করেন, বর্তমানে তার শরীরিক যে অবস্থা তাতে তাকে সহযোগিতা করার জন্য কমপক্ষে দশটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের এগিয়ে আসা উচিত।
এসম্পর্কে কাজী হায়াৎ বলেন, ‘আমি এটা ডিজার্ভ করি। ধরেন, আমার এক হাজার কোটি টাকা আছে। ঢাকা শহরে ১৪টি বাড়ি রয়েছে। তারপরও আমার মনে হয় এখন থেকে আমার সকল চিকিৎসার ভার বহন করা উচিত সরকারের। যদিও বহু আগে থেকেই করা উচিত ছিল। আমি তো অন্য সবার মতো না! আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছি। তিনটি আন্তজার্তিক পুরস্কার পেয়েছি। এসব কথা যারা বলে তারা তো নির্বোধ!
বিষয়টা শুনেই আমার কাছে অদ্ভুত লেগেছে। কয়েকদিন আগে ডিপজল আমাকে ফোন করেছে, বলেছে যত টাকা লাগবে সব আমি দেবো। এটা কি ভিক্ষা, অনুদান না কি সাহায্য? তারপর নায়ক আলমগীর আমাকে বলেছেন, আপনি কোথায় যাচ্ছেন চিকিৎসার জন্য? আমি বললাম,আমেরিকা যাচ্ছি। সে বলল, টিকিট আমি কেটে দেবো। এখন এটাকে কি ভিক্ষা বলবে?’
উল্লেখ্য, ১০ লাখ টাকার অনুদান পাওয়ার পর থেকেই বিষয়টি নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। সেই আলোচনা সম্পর্কেই কাজী হায়াৎ কথাগুলো বলেন।