Home / মিডিয়া নিউজ / প্রত্যেক পরিবারের কেউ না কেউ ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ দেখে: পলাশ

প্রত্যেক পরিবারের কেউ না কেউ ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ দেখে: পলাশ

শুটিং করতে কিংবা লোকেশন রেকি করতে ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে যেতে হয় জিয়াউল হক পলাশকে। সেসব জায়গায় মানুষ তাকে ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’র কথা বলে। তাদের কাছে তিনি আবার পলাশ নন, ‘কাবিলা’ নামেই বেশি পরিচিতি পান।

কাজল আরেফিন অমির পরিচালনায় পরপর তিনটি সিজন তুমুল দর্শকপ্রিয়তা অর্জনের পর সাফল্যের ধারাবাহিকতায় ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’র চতুর্থ সিজন প্রচারে আসছে ১১ মার্চ থেকে। সপ্তাহে তিনদিন একটি বেসরকারি টিভিতে প্রচারের পর ধ্রুব টিভির ইউটিউবে প্রচারিত হবে তা। এ উপলক্ষে রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে পলাশ চ্যানেল আই অনলাইনের কথা বলেন।

পলাশ বলেন, ‘উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ যেখানেই যাই এতটুকু বুঝতে পারি দেশের প্রত্যেক পরিবারের কেউ না কেউ ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ দেখে। হয়তো মুরুব্বী দেখে, নইলে তার ছেলে দেখে অথবা মেয়ের জামাই দেখে; কেউ না কেউ অবশ্যই কাজটি দেখে। খুব ভালো লাগে যখন অজপাড়া গ্রামে যাই সেখানে দেখি চায়ের দোকানে খেতে খেতে অনেকেই ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ দেখছে।’

ধারাবাহিক নাটক দর্শকের কাছে এমন জনপ্রিয়তা পাওয়াকে ‘হিউজ অ্যাসিভমেন্ট’ বলে মনে করেন জিয়াউল হক পলাশ।

দর্শকদের কাছে ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ নাটকের প্রাণভোমরা হচ্ছেন কাবিলা চরিত্রের পলাশ। তার দুর্দান্ত অভিনয় দর্শকের আনন্দ দেয়।

এ নিয়ে পলাশ বলেন, ‘দর্শকরা এই নামটার সঙ্গে এতো পরিচিত হয়ে উঠেছেন যে নিজেরাই ‘ওন’ করে ফেলেছে। যখন বাইরে বের হই পলাশ নামে কেউ ডাকে না। সবাই আমাকে কাবিলা বলেই ডাকে। আমি এই বিষয়টি ভীষণ উপভোগ করি।’

‘‘মানুষ যদি এই নামটাকে ভালো না বাসতো তাহলে তো আমাকে নিজের নাম রেখে চরিত্রের নাম কাবিলা বলে ডাকতো না। আমি তো আরও অনেক অনেক চরিত্রে অভিনয় করেছি, কিন্তু মানুষ তো সেসব চরিত্রের নাম ধরে ডাকে না। এরমাধ্যমে বোঝা যায়, মানুষের কাছে কাবিলা চরিত্রটি কতটা আপন।’’

কাবিলাকে মানুষ কেন এত পছন্দ করে জানতে চাইলে পলাশ বলেন, ‘কাবিলা যে কোনো কঠিন পরিস্থিতি থেকে খুব সহজে বেরিয়ে আসতে পারে। সেটা চাপাবাজি দিয়ে হোক বা নিজের ক্ষমতা দেখিয়ে হোক; যে কোনোভাবে কাবিলা বেরিয়ে আসবেই। এই জিনিসটি মানুষ দেখে খুব উপভোগ করে। এজন্যই হয়তো কাবিলা মানুষের কাছে এতো পছন্দের ও অর্গানিক ভালোবাসার।’

নতুন সিজনের কাজের অভিজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নতুন করে কিছুটা বৈচিত্র্য এসেছে ও নতুন চরিত্রে এসেছে। গল্পেও বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। তবে আমরা কাজের সময় কোনো চাপ নেইনি। গল্প অনুযায়ী অভিনয় দিয়ে ভালো উপস্থাপনের চেষ্টা করেছি। কে কি ভাববে এই চাপ নিয়ে কাজ করলে ভালো হয় না। তবে আগের চেয়ে ভালো করার চেষ্টা করেছি।’

গেল বছর শেষ হয়েছিল ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ সিজন ৩। তখন থেকে দর্শক চাইছিলেন নতুন সিজন। এই চাওয়াকে প্রাধান্য দিয়ে পরিচালক কাজল আরেফিন অমি নতুন সিজন নির্মাণ করলেন।

১১ মার্চ থেকে সপ্তাহে ৩ দিন (শুক্র, শনি ও রোববার) ব্যাচেলর পয়েন্ট সিজন ৪ প্রচার হবে। রাত ৮:২৫ মিনিটে টিভিতে প্রচারের পর ধ্রুব টিভির ইউটিউবে উন্মুক্ত হবে প্রতি এপিসোড।

জনপ্রিয় ফ্রুট ড্রিংকস ফ্রুটিকা নিবেদিত ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ সিজন-৪ এর বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করছেন আগের শিল্পীরাই। যারা প্রত্যেকেই নাটকটির চরিত্রগুলো দিয়ে দর্শক মহলে ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়েছেন। আছেন মিশু সাব্বির, পলাশ, চাষী আলম, মারজুক রাসেল, সাবিলা নূর, সানজানা সরকার রিয়া, ফারিয়া শাহরিন, শরাফ আহমেদ জীবন, সুমন পাটোয়ারী, মনিরা মিঠু, আবদুল্লাহ রানা, শিমুল শর্মা, পারসা ইভানা, পাভেল প্রমুখ।

Check Also

আবারও ডি এ তায়েবের নায়িকা মাহি

নতুন আরও একটি সিনেমায় কাজ করতে যাচ্ছেন ঢালিউডের জনপ্রিয় নায়িকা মাহিয়া মাহি। সেই সিনেমার নাম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *