আজ মা দিবস। কর্ম ব্যস্ততার মধ্যেও মা জেসমিন আকতার সবসময় শবনম বুবলীর ‘মাথার তাজ’ হয়ে থাকেন। তাই বুবলী মনে করেন মাকে ভালোবাসতে বিশেষ কোনো দিবস লাগে না। মায়ের প্রতি সন্তানের ভালোবাসা বছরের প্রতিটি দিনই থাকে। চ্যানেল আই অনলাইনের মাধ্যমে মা দিবসে ‘বগসিরি’, ‘সুপার হিরো’, ‘পাসওয়ার্ড’-খ্যাত জনপ্রিয় এই চিত্রনায়িকা জানালেন মায়ের সঙ্গে তার কথা।
অনেকেই জানেন, আমি একটু ঘরকুনো স্বভাবের! নিজের মতো থাকতে পছন্দ করি। আর বাবা-মা-ভাই-বোনদের সঙ্গে সময় কাটাতে ভীষণ পছন্দ করি। বাসায় বসে বসে আম্মুকে জ্বালানো তো আমার একটা রুটিন! তিন বোনদের মধ্যে আমি সবার ছোট। তাই আমার জন্য আদরটাও সবসময় একটু বেশিই থাকে। তবে আম্মু আমাকে যেমন ভালোবাসে, তেমন শাসনও করে।
লেখাপড়ার ব্যাপারে আম্মু কখনও ছাড় দেননি। ছোটবেলা থেকে আম্মু এতটাই শাসন করতেন যে, উনি বলতেন ওনার চোখের ভাষা বুঝতে। যেন ওনার মুখে কথা বলতে না হয়। কখনও আন্টিদের বাসায় দাওয়াতে নিয়ে গেলে আগে থেকে ব্রিফিং দিতেন যেন একদম চুপচাপ ভদ্র হয়ে থাকি।
দুষ্টামি না করি। অন্য বাচ্চাদের সঙ্গে একটু এদিক-সেদিক করলেই আম্মুর চোখে চোখ পড়তো আর বুঝতাম তিনি রাগ হচ্ছেন!এজন্য পরে আর সহজে তাকাতাম না। না তাকালেও আম্মু পরে রাগ করতেন। কিন্তু আন্টিদের সামনে কিছু বলতে পারতেন না। হাহাহা… আসলে আম্মুর ওসব মিষ্টি শাসনগুলোই জীবনে অনেক কিছু শিখিয়েছে, এখনও শেখাচ্ছে।
আম্মু আমাকে আদর করে ভুবন বলে ডাকে। কিন্তু আম্মুই তো আমার ভুবন, আমার পৃথিবী। চলচ্চিত্রে অভিনয়ে আসার আগে আমার পরিবারের কেউ ওভাবে রাজি ছিলেন না। আম্মুও তাই। যখন আম্মুকে প্রথমবার নিজের ছবি বড়পর্দায় দেখাতে নিয়ে গিয়েছিলাম, সেদিন আমার মা খুশি হয়েছিলেন।
এরপর থেকে আম্মু মজা করে জিজ্ঞেস করেন, কোন ছবিতে কে আমার মা চরিত্র করছেন। কাকে আমি মা বলছি! হাহাহা..
প্রচণ্ড ভালোবাসি আমার মাকে। হয়তো কখনও আম্মুকে বলা হয়না ওভাবে কিন্তু নিজে অনুভব করি। মা আমার অক্সিজেন। আসলে মায়ের অবদান বা ভালোবাসা কখনও বলে শেষ করা যায়না। সবসময় চাই মায়ের মুখের হাসিটা দেখতে। সবাই আমার মায়ের জন্য দোয়া করবেন যেন উনি সুস্থ থাকেন, ভালো থাকেন। সৃষ্টিকর্তা আমাকে মায়ে দীর্ঘজীবী করুন এই কামনায় রইলো।