সময় বদলেছে। আর সময়ের সঙ্গে বদলেছে বৈশাখের আনন্দ, মানুষের রুচি, চাওয়া-পাওয়া, সমাজ ও পরিবারের কাঠামো। জীবনের অনেকগুলো বৈশাখ কাটিয়ে এমনটাই মনে হয়েছে অভিনেত্রী দিলারা জামানের।
দিলারা জামান বলেন, যুগের সঙ্গে আনন্দের ধরনও পাল্টে গেছে। আনন্দগুলো আগে বাবা, মা, ভাই বোনকে ঘিরে ছিল। পরিবারগুলো ছিল একান্নবর্তী। বৈশাখ মানেই তখন ছিল পরিবারের সবাই মিলে একসঙ্গে আনন্দ করা। কিন্তু এখন আনন্দগুলো আর পরিবারভিত্তিক নেই। কোনো উপলক্ষে মানুষ আর পরিবারের সঙ্গে ঘরে সময় কাটানোর কথা ভাবে না। সব পরিকল্পনা এখন বাহিরভিত্তিক। এই আনন্দটা আমার কাছে লোক দেখানো মনে হয়। শো-অফের আনন্দ।
দিলারা জামানের ছোট বেলা কেটেছে লালবাগে। বৈশাখ এলেই সেখানে মেলা বসতো। মেলায় পাওয়া যেত নানা রকমের রঙিন খেলনা, মুড়ি-মুড়কি, মিষ্টান্নের দোকান। সেই সঙ্গে বসতো নাগরদোলা। মেলায় গেলে খেলনা হাড়ি-পাতিল কিনে আনতেন তিনি। আরেকটি মজার বিষয় হলো, মেলা দেখতে দূরে যেতে হতো না তার। বারান্দায় বসেই দেখা যেত সেই মেলা। তাই সারাদিন বারান্দা থেকে মানুষের মেলায় ঘুরে বেড়ানোর আনন্দ দেখতেন তিনি।
এখন আর আগের মতো আনন্দ করে বৈশাখ কাটানো হয়না বলে জানালেন দিলারা জামান। বৈশাখে একটি শাড়ি উপহার পেয়েছেন। সেটা পরে উত্তরার স্থানীয় একটি বৈশাখ আয়োজনে যাবেন তিনি। এরপর আফসানা মিমির ‘ইচ্ছে ঘুড়ি’তে যাওয়ার কথা তার। এবারের বৈশাখে আপাতত আর কোনো পরিকল্পনা রাখেননি তিনি।