





তানজিকা আমিন। অভিনেত্রী ও মডেল। মাছরাঙা টেলিভিশনে আজ রাতে প্রচার হচ্ছে তার অভিনীত






ধারাবাহিক নাটক ‘অনলাইন অফলাইন’। সাগর জাহান পরিচালিত এ নাটক ও অন্যান্য বিষয়ে কথা হয় তার সঙ্গে-






কাজের অভিজ্ঞতায় পারিবারিক গল্পের অন্যান্য নাটক থেকে ‘অনলাইন অফলাইন’ কি ভিন্ন ধরনের মনে হয়েছে?






আমরা সবসময় গৎবাঁধা গল্পের নাটকই বেশি দেখি। কিন্তু এটি সে রকম নয়। একটি পরিবারের গল্প এটি।






সাগর জাহানের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে এটাই বুঝেছি, গল্প নির্বাচনের বিষয়টি তিনি গুরুত্ব দিয়ে দেখেন। আমি শুধু কাজের অভিজ্ঞতা থেকে এটা বলতে পারি, দর্শকের ভালো লাগার কথা মাথায় রেখেই নাটকটি তৈরি করা হয়েছে। দর্শকও নাটকটি পছন্দ করছেন।
নাটকে আপনার চরিত্রটি কী রকম?
রুমা ভাবি চরিত্রে অভিনয় করছি। সুন্দরী বলে স্বামী আমাকে নিয়ে সন্দেহ করে। চরিত্রটি বেশ মজার।
‘নিজের নামেই হোক পরিচয়’ অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করে কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
ভালোই। যারা কাজটি দেখেন, তাদের কাছ থেকে প্রশংসা পাচ্ছি। আমাদের গল্প নিয়েই এ আয়োজন। নারী শক্তিকে তুলে ধরতেই উপস্থাপনায় আসা। এতে নারীর অনুপ্রেরণার গল্প উঠে আসছে। যেসব নারী একটু পিছিয়ে আছেন, এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের উদ্বুদ্ধ করছি।
মাঝে মাঝে অভিনয়ে বিরতি নিচ্ছেন। এর পেছনে কোনো কারণ আছে?
না, বিশেষ কোনো কারণ নেই। গৎবাঁধা কাজ থেকে মুক্তি পেতেই এ বিরতি। কাজ করতে করতে মনে হয়, একটি বিরতি নেওয়া দরকার। তখন তিন অথবা ছয় মাসের বিরতি নিই। তা ছাড়া প্রতিদিন ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে ভালো লাগে না। অভিনয় করে যদি তৃপ্তি না পাওয়া যায় তাহলে সে কাজ করার কোনো মানে নেই।
‘গহীনের গান’-এর পর নতুন কোনো সিনেমা নিয়ে ভাবছেন?
সিনেমায় অভিনয়ের অনেক প্রস্তাব পাচ্ছি। সে রকম গল্প ও চরিত্র পাই না বলে সিনেমায় অভিনয় করছি না। ছোট পর্দা, বড় পর্দা যেটাই হোক; সেই কাজটি করতে চাই, যা নিজের ভালো লাগবে।
ওয়েব মাধ্যমে কাজ নিয়ে আপনার আগ্রহ কেমন?
কাজের ক্ষেত্রে আমার কাছে মাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ নয়। যে মাধ্যমে অভিনয়ের সুযোগ থাকে সেখানেই কাজ করতে চাই। এখন তো সবাই ওয়েবের দিকেই ঝুঁকছেন। ভালো ভালো কাজও হচ্ছে। অনলাইন নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে। এখন পর্যন্ত ভালো কোনো ওয়েব কনটেন্টে অভিনয়ের প্রস্তাব পাইনি। পেলে যে কোনো সময় এ মাধ্যমে আমাকে দেখা যাবে।