





এ সময়ের মেধাবী অভিনেত্রীদের মধ্যে জাকিয়া বারী মম অন্যতম। ‘দারুচিনি দ্বীপ’ চলচ্চিত্রের






মাধ্যমে প্রথম চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন তিনি। প্রথম সিনেমা তাকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এনে দেয়।






যদিও মম’র শিল্পী জীবনের শুরুটা হয়েছিল অন্যরকম। মাত্র ৩-৪ বয়সে নাচ-গান ও ছবি আঁকার






ক্লাসে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। ছোটবেলাতেই নাচের জন্য পেয়েছেন জাতীয় শিশু পুরস্কার। শুধু তাই নয়, ছোটবেলায় ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার মফস্বল শহরে বেড়ে ওঠা মম মা’কে সঙ্গে নিয়ে টানা ১০ বছর ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া থেকে ঢাকা এসে নাচ শিখেছিলেন। শিবলী মহম্মদ ও কবিরুল ইসলাম রতন ছিলেন মম’র নৃত্যগুরু।
মাছরাঙা টেলিভিশনের নিয়মিত আয়োজন ‘রাঙা সকাল’-এর ঈদের বিশেষ পর্বে অতিথি হয়ে এসে মম তার জীবনের নানা জানা-অজানা গল্পের ডালা মেলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘সকালবেলা ট্রেনে চেপে ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া থেকে রওয়ানা করে ঢাকায় এসে নাচ শিখে আবার রাতে ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার উদ্দেশে রওয়ানা দিতাম। এ ক্ষেত্রে আমার মা আয়েশা আক্তারের অবদান ছিল সবচেয়ে বেশি। মা রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক ছিলেন। তার চাকরী, তখনকার সমাজব্যবস্থা-সবকিছু সামলে আমাকে নিয়ে যে সংগ্রাম করেছিলেন, তারই পরিণতি হয়তো আমার শিল্পী হয়ে ওঠা।’
বিটিভিতে শিশুদের প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান ‘নতুন কুঁড়ি’তেও পুরস্কৃত হয়েছিলেন মম। গান গাওয়ার জন্য ১৯৯৫ সালে এসেছিল এ পুরস্কার। অথচ নাচ কিংবা গানে নয়, এখন অভিনয়েই নিয়মিত তিনি। মম’র নানা বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তার হাতে থাকা নতুন দুইটি সিনেমাও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক; একটি খিজির হায়াত খান পরিচালিত ‘ওরা ৭ জন’, অন্যটি অনন্য মামুন পরিচালিত ‘রেডিও’।
সম্প্রতি ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ‘মহানগর’, ‘কন্ট্র্যাক্ট’, ‘রিফিউজি’বা অতি সম্প্রতি ভিন্ন ধারার কাজ ‘কোহিনূর’-এ ময়লাওয়ালীর চরিত্রে অভিনয় করে ভীষণভাবে প্রশংসিত হয়েছেন মম। এই সাফল্যের জয়যাত্রা অক্ষুণ্ন রাখতে চান মম নিজেও। ‘রাঙা সকাল’ অনুষ্ঠানে সে আশাবাদই তিনি ব্যক্ত করেছেন।
রুম্মান রশীদ খান ও খালেদা’র উপস্থাপনায় মাছরাঙা টেলিভিশনে ‘রাঙা সকাল’-এর এই বিশেষ পর্বটি প্রচারিত হবে ঈদের ৩য় দিন সকাল ৭টায়। অনুষ্ঠানটি প্রযোজনা করেছেন জোবায়ের ইকবাল।