





এ যেন শুধু রথবদল কিংবা মালাবদলের প্রতিযোগিতা। ২০১৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে বিয়ে করে এই তারকা দম্পতী ।






বিয়ের পর একটি সাক্ষাৎকারে কণ্ঠশিল্পী হৃদয় খান বলেছিলেন, ‘সুজানা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় গিফট।






বিয়েতে কবুল বলার সময় মেয়েরা কাঁদে। কিন্তু সুজানাকে কবুল বলার সময় আমার চোখেই পানি এসেছিল।






খুব ইচ্ছা করছিল মন ভরে কাঁদতে! এই কান্না আসলে সুখের কান্না।’ ২০১৮ সালে এসে সুজানা জানালেন, হৃদয় খানকে বিয়ে
করা ছিল তার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল। সম্প্রতি দেশের শীর্ষ একটি পত্রিকাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্যই করেছেন গায়ক ও সঙ্গীত পরিচালক হৃদয় খানের সাবেক স্ত্রী অভিনেত্রী সুজানা জাফর। সংসার ভেঙেছে অনেক আগেই। তারা বিয়ে করেছিলেন ২০১৪ সালের ১ আগস্ট। ডিভোর্স হয় ২০১৫ সালের ৬ এপ্রিল। ওইদিন বিকাল চারটার দিকে রাজধানীর মনিপুরিপাড়ায় একটি কাজি অফিসে গিয়ে তালাকনামায় স্বাক্ষর করেন হৃদয়-সুজানা। ৯ মাসের সংসার জীবনে তারা একসঙ্গে থেকেছেন মাত্র তিন মাস। বাকি সময়টা আলাদা।
বিয়ের আগে তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল হৃদয় খান ও সুজানার। পরে নিজের থেকে বয়সে ছোট হৃদয়কে বিয়ে করেন সুজানা। এটি ছিল তাদের দুজনেরই দ্বিতীয় বিয়ে। মাস তিনেক যেতে না যেতেই তাদের দাম্পত্য জীবনে টানাপোড়েন শুরু হয়। একটা পর্যায়ে তা চরম আকার ধারণ করে। মাস চারেক তারা আলাদাও থাকেন। তারপরেই ডিভোর্স।
বিচ্ছেদের কারণ প্রসঙ্গে সে সময় সুজানা বলেছিলেন, বিয়ের পর রাতারাতি হৃদয়ের আচরণে ব্যাপক পরিবর্তন আসে। সে আমার পরিবার সহ সবকিছুতেই অসম্মান দেখাতে শুরু করে। তার একপেশে মতামত আমার উপর জোর করে চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। বাজে ব্যবহার করে।এসবের কারণেই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।’ ২০১০ সালে পূর্ণিমা আকতার নামের একটি মেয়েকে পালিয়ে বিয়ে করেন গায়ক হৃদয় খান। এটি ছিল তার প্রথম বিয়ে। ছয় মাসের মাথায় ভেঙে যায় সেই সংসার। অন্যদিকে, ২০০৬ সালে ঢাকার একটি বায়িং হাউসের কর্মকর্তা ফয়সাল আহমেদকে প্রথম বিয়ে করেন মডেল ও অভিনেত্রী সুজানা। সেই বিয়ে টিকেছিল মাত্র চার মাস।
সম্প্রতি রাজধানীর বনানীতে একটি বুটিক শপ খুলেছেন সুজানা। আপাতত নিজের এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিয়েই ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তিনি। অন্যদিকে, হৃদয় খান ব্যস্ত তার সঙ্গীত জগত নিয়ে।