





শিশুশিল্পী হিসেবে একটি বিজ্ঞাপনে অভিনয়ের মাধ্যমে মিডিয়ায় আসেন তিনি। ছোট্ট ওই বয়সেই কাজ






করেছেন অনেক ছবিতে। অভিনয় জগতে তৈরি করেছেন অসীম সম্ভাবনা। সম্প্রতি নায়িকা হিসেবে






আত্মপ্রকাশ করেছেন তিনি। হ্যা, বলছি প্রার্থনা ফারদিন দীঘির কথা। সম্প্রতি ওটিটি প্ল্যাটফর্মে সুমন






ধর পরিচালিত ‘শেষ চিঠি’ ফিকশনে তুলি চরিত্রে দেখা গেছে তাকে। ওয়েব ফিল্মটির মুক্তির পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোচনা হচ্ছে। যারা এতদিন দীঘির কাজ নিয়ে সমালোচনা করেছিল তারাও প্রশংসা করছেন। কাজ ও অন্যান্য প্রসঙ্গে সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। তিনি জানান নায়িকা হিসেবে শুরুটা ভালো না হলেও এখন বুঝে-শুনে আগাচ্ছেন।
দীঘি বলেন, এখন বেছে বেছে কাজ করছি। সব কাজ করছি না। বুঝে-শুনে ভালো কাজ করছি। নায়িকা হিসেবে অভিষেকের শুরুতে কিছু শিক্ষা পেয়েছি। এটাকে আমি ভুল বলব না। সেই শিক্ষা থেকে এখন অনেক কিছুরই পরিবর্তন এসেছে। আমি কাজের ব্যাপারেও সর্তক হয়েছি। কাজটি ব্যতিক্রম হলেও এটি আমার জন্য শিক্ষা। তাই কাজের ব্যাপারে সচেতন হয়েছি। সম্প্রতি ‘শেষ চিঠি’ দিয়ে ওটিটিতে অভিষিক্ত হয়েছেন দীঘি। সুমন ধর পরিচালিত এই ওয়েব ফিল্মের কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। এটি মুক্তি পাওয়ার পর বেশ সাড়া পাচ্ছেন জানিয়ে দীঘি বলেন, এতটা সাড়া পাব ভাবিনি। সিনেমাটি রাত ৮টায় মুক্তি পায়। ১০টার পর থেকে আমার কাছে ফোন আসতে শুরু করে। সবাই কাজটি প্রশংসা করেছেন।
প্রথম ওয়েব ফিল্ম নিয়ে টেনশনে পাঁচ দিন ঘুমাতে পারিনি। যখন দেখলাম মানুষের টিজার দেখে প্রত্যাশা অনেক বেশি, তখন মনে হলো হয়ত পছন্দ হবে। যখন পজিটিভ সাড়া পেলাম, তখন পাঁচ দিনের মাথায় ভাবলাম—আজ একটু শান্তিতে ঘুমাব। কিন্তু সারারাত যখন সবাই ফোন করে প্রশংসা করছে, সেই রিভিউ শুনতে শুনতে আর ঘুমাতে পারিনি। সবার ফোনেই রাত পার হয়ে গেছে।
ওটিটিতে নিয়মিত পাওয়া যাবে? উত্তরে দীঘি বলেন, ইচ্ছে আছে নিয়মিত কাজ করার। ভালো কাজ পেলে নিয়মিত দেখা যাবে। তবে যা তা কাজ করে সংখ্যা বাড়াতে চাই না। কাজ কম করব, তবে মানসম্মত কাজ করতে চাই। আমি নিজেও একজন ওটিটির ভক্ত। আমার বাসায় নেটফ্লিক্স থেকে শুরু করে সব প্ল্যাটফর্মই আছে। যখন বাংলাদেশে ওটিটি আসেনি, তখন থেকে আমি ওটিটি দেখায় অভ্যস্ত। ওটিটির কাজে ভিন্নতা আছে।
বর্তমানে এ নায়িকা আসন্ন ঈদের কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কাজের ব্যস্ততা জানিয়ে দীঘি বলেন, এখন আসন্ন ঈদের কাজের ব্যস্ততা চলছে। বেছে বেছে বিভিন্ন ফটোশুটে অংশ নিচ্ছি। তবে, এবার কম কাজ হাতে নিয়েছি। এখন আমি বেছে বেছে কাজ করছি। ঈদের পর শুরু করব সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত সিনেমা ‘শ্রাবণ জোৎস্নায়’র বাকি অংশের শুটিং। আসছে সেপ্টেম্বরে মুক্তি পাবে বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমাটি।