





একজন দক্ষ অভিনেতাই পারে তার চরিত্রটিকে আসল রূপ দিতে। যেকোনো চরিত্রে নিজেকে






সাবলীলভাবে মানিয়ে নেয়াই তো তার কাজ। আর সেই কাজটাই আদর্শভাবে করতে পেরেছেন জাঁদরেল






অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। কত কত চরিত্র তিনি করেছেন তার ইয়ত্তা নেই, কিন্তু প্রতিবারই তার






নতুন চরিত্রকে তিনি ধারণ করেছেন নিজের মতোই। বারবার নিজ যোগ্যতায় দর্শকহৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন।






শুধু অভিনয়ই নয়, পাশাপাশি মডেল, শিক্ষক ও গায়ক। টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র দুই মাধ্যমেই অভিনয় করেছেন। অভিনয়ের স্বীকৃতি হিসেবে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে দুবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। উচ্চমাধ্যমিক শেষ করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলায় ভর্তি হন। ছোটবেলা থেকেই গান-বাজনা, আবৃত্তি আর নাটকের প্রতি নেশা ছিল চঞ্চলের। পরে মঞ্চনাটকের প্রতি আগ্রহ খুঁজে পান এ অভিনেতা।
১৯৯৬ সালে মামুনুর রশীদের আরণ্যক নাট্যদলের সঙ্গে কাজ করার মধ্য দিয়েই অভিনয় জীবনের শুরু। এরপর মঞ্চ দাঁপিয়ে বেড়ানো ছেলেটাই হয়ে উঠেছিলেন আদর্শ শিল্পী। চঞ্চলের বড় পর্দায় অভিষেক হয় ২০০৬ সালে তৌকির আহমেদ পরিচালিত রূপকথার গল্প দিয়ে। ২০০৯ সালে গিয়াস উদ্দিন সেলিম পরিচালিত মনপুরা ছবিতে সোনাই চরিত্রে অভিনয় করে বেশ সাড়া ফেলেছিলেন।
এ ছবিতে অভিনয়ের জন্য ৩৪তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ফেরদৌসের সঙ্গে যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার অর্জন করেন চঞ্চল। এ ছাড়া মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার-এ সেরা অভিনেতা হিসেবে দর্শক জরিপ পুরস্কার লাভ করেন।২০১১ সাল থেকে অলসপুর ধারাবাহিকে অভিনয় শুরু করেন। এই ধারাবাহিকে অভিনয়ের জন্য তিনি ২০১২ ও ২০১৩ সালে টানা দুবার তারকা জরিপে শ্রেষ্ঠ টিভি অভিনেতার মনোনয়ন লাভ করেন। তবে এবার তিনি দেশ ছাপিয়ে ভারতের মাটিতে জয় করেছেন সেরা তারকা পুরস্কার। একের পর এক ওয়েব সিরিজে করেছেন বাজিমাত। ‘তাকদির’ এবং ‘বলি’ সিরিজে অভিনয়ের জন্য ব্রেকথ্রু পারফরম্যান্স অব দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন চঞ্চল চৌধুরী। চঞ্চলের এই গণ্ডি আরও প্রসারিত হোক–তার জন্মদিনে এমনটাই প্রত্যাশা তার ভক্ত ও অনুরাগীদের।
সূত্র: সময় টিভি