





গত কয়েক বছরে নিজের অনবদ্য অভিনয় দিয়ে নাট্যাঙ্গনে আলোচনায় এসেছেন মুশফিক আর






ফারহান। বছরজুড়েই গল্প নির্ভর নাটকে দেখা যায় তাকে। এবার ঈদুল ফিতরেও তার অভিনীত






সাতটি নাটক টেলিভিশন এবং ইউটিউবে প্রচার হয়েছে। যা এখন অন্তর্জালে প্রশংসা পাচ্ছে এবং ইউটিউব ভিউয়ের দিকে এগিয়ে আছে।






ফারহান তার এবারের ঈদের কাজের বিষয়ে বলেন, এবারের নাটকগুলোতে গল্প ও আমার চরিত্র ভিন্নধর্মী ছিল। লোকেশনে ভেরিয়েশন ছিল। প্রতিটা কাজ সময় নিয়ে খুব যত্নসহকারে করার চেষ্টা করেছি। যে সাতটা নাটক করেছি কোনোটাই আরামদায়ক কাজ ছিল না। প্রত্যেকটা কাজই কষ্ট করে করতে হয়েছে। চরিত্র নিয়ে গবেষণা করেছি। বিহাইন দ্য স্টোরি ছিল খুবই প্যাথেটিক।
ছোট পর্দার পরিচিত এই অভিনেতার ‘হাঙর’ নাটকের শুটিং হয়েছে কক্সবাজারে। এই নাটক প্রসঙ্গে অভিনেতার ভাষ্য, গরমের দিনে শুটকি পল্লীতে শুটিং করা খুবই কঠিন ছিল। একটা দৃশ্য তো খুবই চ্যালেঞ্জিং ছিল আমার জন্য। সাগরের একটা জায়গায় গিয়ে লাফ দিতে হয়। সমুদ্রের ভেতর একা লাফ দেয়া তো ভয়ংকর বিষয় ছিল।
ফারহান আরও বলেন, ঈদের ‘ভুলনা আমায়’ নাটকের শুটিং বাগেরহাটে হয়েছে। ধান খেতের ভেতর একটা শট ছিল। মারা যাওয়ার পর যেখানে আমাকে রেখে যায়। ধান খেতের পাশে কাঁদাতে শুয়ে থাকতে হয়েছে। ‘নসিব’-এ পুতুলের ড্রেস পরে ডান্স করতে হয়। ওই সময় প্রচুর রোদ ছিল। প্রচুর গরমের মধ্যে ওই ড্রেস পরে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত টানা শট দিয়েছি।
তবে এসব কষ্ট স্বার্থক হয়েছে বলে মনে করেন মুশফিক আর ফারহান। এ বিষয়ে তিনি বলেন, সব মিলিয়ে আমরা যে পরিবেশের মুখোমুখি হয়েছি তাতে নিয়মিত অভ্যস্ত না। অনেক কষ্ট হয়েছে। হার্ডওয়ার্ক করতে হয়েছে। তবে এসব কষ্টকে কষ্ট মনে হয়নি যখন দর্শক কাজগুলেকে ভালোবেসেছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে যখন ফিডব্যাক পেয়েছি। এটাই বড় পাওয়া। সেই অর্থে বড় কোনো শিল্পী নয় আমি, তবু্ও সাপোর্ট পাচ্ছি। সব সময় চেষ্টা করে যাচ্ছি নিজের ভালো কিছু কাজ দর্শকের সামনে নিয়ে আসার। ইনশা আল্লাহ, সামনে কোরবানি ঈদে চেষ্টা করব ভালো কিছু কাজ করার।