





১৯৯৭ সালে ’মেয়েরাও মানুষ’ মুক্তির পর থেকেই লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে যান কিংবদন্তি






অভিনেত্রী শাবানা। বর্তমানে নিউ জার্সিতে বসবাস করছেন। ১৯৯৭ সালে শাবানা দীর্ঘ ৩৪ বছরের






কর্মজীবন শেষে চলচ্চিত্রাঙ্গন থেকে বিদায় নেন। এরপর তিনি আর নতুন কোনো চলচ্চিত্রে অভিনয় করেননি।






এদিকে তার অনুপস্থিতে চলচ্চিত্র জগত হয়েছে অবিভাবক শূন্য। এমনটাই মনে করেন প্রবীণ অভিনেতা সিরাজ হায়দার। গত দুই দশকে প্রায় ৫০০ ছবিতে তাকে দেখা গেছে। ছোট বড়, কৌতুক, সিরিয়াস প্রায় সকল চরিত্রেই নিজেকে সেরা প্রমাণ করেছেন এই অভিনেতা।
এবার বর্তমান চলচ্চিত্রের অবস্থা বলতে গিয়ে আবেগের সাথে বলেন, ’শাবানা মেডাম বাংলা চলচ্চিত্রটাকে ধ্বংস করেছে! তার সময়ে পারিবারিক গল্পের সিনেমা দিয়ে দর্শক মাত করে রাখতেন। সিনেমা দেখে দর্শক হলে বসেই কাঁদতো-হাসতো আনন্দ করতো। শাবানার অভিনীত সিনেমা মানেই মা-বোনেরা দেখতে হুমড়ি খেয়ে পড়তো।
পরিবারে ঘটে যাওয়া পরিচিত গল্পের সিনেমা হত, মানুষ সিনেমার চরিত্রগুলো নিজেদের সঙ্গে মেলাতেন। যখন দেখতো সিনেমার গল্প জীবনের সঙ্গে মিলে গেছে তখন দর্শক শান্তি পেতো। মুগ্ধ হত। এমন ভালো গল্পের সিনেমা দেখে আবার অপেক্ষায় থাকতো শাবানার সিনেমা কখন আসবে।
শাবানা চলচ্চিত্র ছেড়ে আমেরিকায় চলে গেল আর বাংলা চলচ্চিত্রটাকে ধ্বংস করে গেল। তিনি নেই বলে আজ পারিবারিক সুন্দর সুন্দর গল্পের ছবি নির্মিত হচ্ছে না। মানুষ এখন আর আগের মতো ছবি দেখে হাসতে-কাঁদতে পারে না। ছবির সঙ্গে তাদের জীবনের মিল খুঁজে পায় না। তাই এখন আর পারিবারিক ভাবে দর্শক ছবি দেখতেও আসে না।
দর্শক হলে আনতে হলে পারিবারিক গল্পের ছবি চাই। বাস্তবতার নিরিখে সে ছবি নির্মিত হতে হবে। হলে নারী টানতে হবে। তবেই আবার আমাদের সিনেমা দেখতে হলমুখি হবে।’