





শোবিজে এ সময়কার অন্যতম আলোচিত নাম ফারিয়া শাহরিন। ‘কাস্টিং কাউচ’ নিয়ে






মুখ খুলে রীতিমতো তিনি সমলোচনায় পড়েছেন। অনেকে বাহবাও দিচ্ছেন। এবার






নিজের অবস্থান পরিষ্কার করতে মুখোমুখি হয়েছেন গণমাধ্যমের।






ফারিয়া বলেন, যতদূর মনে ‘কাস্টিং কাউচ’ নিয়ে আমি দু বছর আগেও গণমাধ্যমে কথা বলেছি। তখনও আমি স্পষ্ট করে কথাগুলো বলেছি। কেউ আমার কথায় সাড়া দেয়নি। এখন তো এটা কোন না কোন মাধ্যমে এসেছে। অনেকেরই আঁতে ঘা লেগেছে। আমি আমার জায়গায় তখনও স্ট্রং ছিলাম। এখনও স্ট্রং আছি।
কাস্টিং কাউচ নিয়ে তো এখন তোলপাড় হচ্ছে। আগে আমি কথা বলেছি ঠিকমতো পেমেন্ট পাইনি বলে। আমি নাম উল্লেখ করে বলেছি মিডিয়ায়। আমি রাগ করে মিডিয়া ছেড়ে চলে গেলাম। কই? তখন কিন্তু কোন সিনিয়ররা এসে বলেননি এই মেয়ে তুমি কেন মিডিয়া ছেড়ে যাচ্ছো। তুমি না এখানে কাজ করতে এসেছিলে। সমস্যা কী আমাদের বলো। আমি জানি আমি কতবড় স্টার। সেটা শোবিজে কাজ করা আরেকজনকে বলে দিতে হবে না। আমি এখন মুখ খুলাতে সবাই আমার উপর একরকম ঝাঁপিয়ে পড়েছে।
বন্যা আপুর মতো সিনিয়র অভিনেত্রীও আমার সমালোচনায় মেতেছেন। সেদিন এক টিভি লাইভেও তাঁর মুখোমুখি হয়েছি আমি। আসলে টোটাল ব্যাপারটা এমন, সয়ে যাবে কিন্ত মুখ খুলতে পারবে না। আমার বাবা যদি অন্যায় করে সেটা নিয়ে আমি মুখ খুলতে পারবো না? জাত যাবে সে ভয়ে মুখ না খুলে আমি সাধু মেয়ে হয়ে থাকতে পারবো না।
তাঁদের যুক্তি আমি কেন বলেছি শোবিজ খারাপ। তাতে সবাইকে ঢালাওভাবে বলা হয়েছে। দেখুন ভালো খারাপ সব জায়গাতেই আছে। এটা কমন কথা। কিন্তু যখন খারাপটা বেশি হয়ে যায়।
তখন এর বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানো উচিত। হলিউড- বলিউডে অভিনেত্রীরা একের পর এক মুখ খুলছে। তারা মুখ খুলছে আর অমনি ইন্ডাস্ট্রি খারাপ হয়ে গেল? সমস্যাটা কেউ আমরা চিরতরে শেষ করতে উদ্যোগী হচ্ছি না। যে সমস্যার কথা বলছে তার পেছনে সবাই লাইন বেধে রাখি। এটাই এখন যুগ হয়ে গেছে। সিনিয়ররা বলুক কয়জন এমন অবস্থায় পড়েননি। যদি কখনো পড়েও থাকে তখন মুখ খুলেনি কেন? আমরা বা আমাদের পরের যারা আসছি তাহলে তাদের হয়তো এ নিয়ে মাথা ব্যাথা করতে হতো না।
সিনিয়রদের সঙ্গেও এটাই হয়েছে। এটাই হয় সাধারণত। আমি যখন বাংলালিংকের বিজ্ঞাপনটি করলাম। কতশত প্রস্তাব। আপনি খেয়াল করে দেখবেন নতুন কেউ চমক দেখালে তার প্রস্তাবের অভাব নেই। এই যে এত কাজের অফার, সেটা কিন্তু সবসময় সৎ উদ্দেশ্যে হয় না।
আমি আর কোন আলোচনায় আসতে চাই না বা এটেনশন পেতে চাইনা। সত্যি বলার জন্য আমাকে যদি মিডিয়া ছাড়তে হয় আমি ছেড়ে দিব খুশি মনে। আমি একটা সেলিব্রেটি আর তেলাপোকাও একটা পাখি,‘আমাকে তো কেউ চেনে না’।
সুতরাং আমি মিডিয়াতে থাকি বা না থাকি সেটাতে কারো কিছু আসে যায় না। মিডিয়াতে এসে আমি আপনাদের ভালবাসা পেয়েছি। দর্শকরা আমার কাজের মাধ্যমে আমাকে পছন্দ ও প্রশংসা করেছে। সবার কাছে আমি কৃতজ্ঞ।
একটা কথা সবার জেনে রাখা উচিত, মিডিয়াতে আলোচনায় আসার জন্য মিথ্যে বলে আমার দুই টাকা আয় করতে হবে না। দিনে এখনও একশোটা ফোন আসে কাজের জন্য। দরকার নেই আমার কাজ। আমি আবার দেশের বাইরে চলে যাবো। বেড়াতে আসছিলাম দুইদিনের পাখি হয়ে, আবার ফিরে যাচ্ছি। যাওয়ার সময় একটা শিক্ষা নিয়ে যাচ্ছি,‘এ দেশ সত্য বলাকে আলোচনায় আসার ধান্দা মনে করে। সত্য আর বিবেকের কবর না দিলে আপনি কবরেও চলে যেতে পারেন এদেশে’।