





আড্ডা দেওয়া আর ফ্যান-ফলোয়ারদের সঙ্গে যোগাযোগের একটা মাধ্যমও নাকি রেস্টুরেন্ট, সঙ্গে






ব্যবসাটাও হলো। এমন ভাবনা থেকেই রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় নেমেছেন






নায়ক রিয়াজ, শাহরিয়ার নাজিম জয়, ঈশিতা, অপূর্ব ও মিশু সাব্বির।






রিয়াজ
জানুয়ারিতে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় চালু করেছেন ‘ফুড টোয়েন্টিফোর ইনটু সেভেন’। রেস্টুরেন্টটি খোলা থাকে সপ্তাহের প্রতিদিন, দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা। এখানে বসে খাওয়ার ব্যবস্থা আছে, কেউ ইচ্ছা করলে বাসায় বসে অর্ডার দিয়ে খাবার পাবে। শুরুটা কিভাবে? ‘অনেকটা হঠাৎ করেই। তবে একটা ভাবনা মাথায় ছিল। গভীর রাতে শুটিং শেষ করে ভালো খাবারের দোকান খুঁজে পেতাম না। এসব ভেবে নিজেই শুরু করে দিলাম’, বললেন রিয়াজ।
রেস্টুরেন্টের ভেতরের দিকটা খুব ছিমছাম। দেয়ালে কাঠের বিভিন্ন নকশা, তার ফাঁকে লাইটের নরম আলো। ৪২ জন একসঙ্গে বসে খেতে পারে। বারান্দায় বসার স্থানও আছে। যেকোনো ঘরোয়া পার্টিও সেরে ফেলা যায়। রিয়াজ আরো বললেন, ‘নতুন শাখার জন্য ভেন্যু খুঁজছি। রাতে মানুষ বাইরে খেতে বের হয় বেশি। ইদানীং নিরাপত্তা ইস্যুতে রাতে বের হওয়ার সাহস পায় না অনেকেই। ভাবছি গ্রাহকদের নিরাপত্তার দিকটিও আমরা দেখব।’
শাহরিয়ার নাজিম জয়
দুই বছর আগে বনানীর ১১ নম্বর রোডে গড়ে তুললেন ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’। জয় বলেন, ‘এখানে ভারতের বিখ্যাত খাবারগুলো পাওয়া যায়। ক্রেতাদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে ভারত থেকে রাঁধুনি আনা হয়েছে। মানের ব্যাপারে খুব জোর দিচ্ছি।’ চেন্নাই এক্সপ্রেসের ইন্টেরিয়র ডিজাইন দৃষ্টি আকর্ষণ করবে যে কারোরই। কালো ব্যাকগ্রাউন্ডে সাদা চক দিয়ে লেখা যেন পুরো রেস্টুরেন্টই মেন্যু চার্ট। এখানকার চেলো কাবাব এককথায় অসাধারণ।
রুমানা রশিদ ঈশিত
গত বছর নামলেন এই ব্যবসায়। বনানীর কামাল আতাতুর্ক এভিনিউতে তাঁর রেস্টুরেন্টটির নাম ‘হোয়াই নট’। ‘হোয়াই নট’ কেন? ঈশিতা বলেন, ‘হোয়াই নট কেন নয়?…কোনো কারণ ছাড়াই, মনে হলো এ নামটিই আমার রেস্টুরেন্টের সঙ্গে ভালো মানায়।’
ছোট্ট পরিসরে ‘হোয়াই নট’-এর যাত্রা শুরু করেছেন ঈশিতা। শাহরিয়ার নাজিম জয় তাঁর কিছুদিন আগেই রেস্টুরেন্ট চালু করেছেন। তাঁর কাছ থেকে পরামর্শ নিয়েই এ ব্যবসায় নেমেছেন। রেস্টুরেন্টটির ইন্টেরিয়র ছিমছাম এবং ভীষণ গর্জিয়াস। ‘হোয়াই নট’-এর বিশেষত্ব হলো, তাজা, টাটকা খাবার পরিবেশন করা হয়। জুসবারের পাশাপাশি নানা ধরনের চা ও কফি পাওয়া যায়।
জিয়াউল ফারুক অপূর্ব
ঢাকার গুলশান ১-এ অবস্থিত অপূর্বর রেস্টুরেন্টের নাম ‘টামি টাইম ক্যাফে’। এখানকার স্টেক, মেক্সিকান ফুড, পাস্তা, বারবি কিউ বিখ্যাত। তবে অপূর্বর পছন্দের খাবারটা হলো মেসি বার্গার। ‘খাবারের দাম রিজনেবল রাখার চেষ্টা করেছি আমরা। স্টুডেন্টসহ সব শ্রেণির গ্রাহক আসে’, বললেন অপূর্ব।
বনানীতে আবেদিন টাওয়ারের নিচতলায় গড়ে তুলেছেন ‘টামি টাইম’ নামের একটি কফি শপ। অপূর্ব বলেন, ‘আমরা তিন বন্ধু মিলে এই ব্যবসা করছি।
এই দুই বন্ধুর উৎসাহেই এ ব্যবসায় যুক্ত হয়েছি। রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় তারা বেশ অভিজ্ঞ। আড্ডাবাজিও হলো, ব্যবসাও করলাম। সকাল থেকে রাত ৩টা পর্যন্ত খোলা থাকে। খাবারের গুণগত মান, স্বাদ ও স্বাস্থ্যসম্মত ব্যাপারগুলোতে গুরুত্ব দিচ্ছি। আমাদের কফি শপটি মূলত টেক অ্যাওয়ে সার্ভিসের ওপরই বেশি জোর দিচ্ছে। তবে কফি শপে বসে খাওয়ার ব্যবস্থাও আছে।’
অভিনয়ে ব্যস্ততার পর এখানে সময় দেওয়া হয়? ‘আসলেই রেস্টুরেন্টের যাবতীয় কিছু আমার বন্ধুরাই দেখাশোনা করে। সময় পেলে ওদের সঙ্গে গিয়ে আড্ডা দিই। আর তখন যতটা পারি তদারকি করি’, বলেন অপূর্ব।
মিশু সাব্বির
একসময় চ্যানেল আইতে জব করতেন। তখন বেইলি রোডে অনেক আড্ডা দিতেন। জুসের দোকানগুলোতে মানুষের অনেক ভিড় দেখেছেন। নিজেও ছিলেন নিয়মিত কাস্টমার।
তখনই ভেবে রেখেছিলেন, কখনো সুযোগ পেলে নিজেই ফুড শপ দেবেন। ‘শুটিংয়ের কল্যাণে অনেক দেশ ঘুরেছি। দেখলাম প্রত্যেক দেশেই জুসের বেশ ভালো ভালো শপ আছে। এসব দেখে নিজেই শুরু করে দিলাম’, বললেন মিশু। রেস্টুরেন্টের নাম ‘ড্রিপ ড্রপ’, মিরপুর ৬০ ফুট মেইন রোডের পাশে। এখানে রয়েছে নানা রকম ফলের জুস, স্যান্ডউইচ। মিশু আরো বলেন, ‘ঢাকা শহরে আজকাল সময় কাটানোর মতো ভালো জায়গার খুব অভাব। সে হিসেবে এখানটা অনেক নিরিবিলি। স্বাস্থ্যসম্মত খাবার আর কিছু সময় কাটানোর জন্য এখানে আসতে বলব পাঠকদের। আশা করি নিরাশ হবে না।’