





চোখের মণিতে ট্যাটু! এমনই উদ্ভট শখ জন্মেছিল এক মডেলের। মাথায় যখন একবার এমন অদ্ভুত






ভাবনা এসেছে, তখন সেটাকে বাস্তবে রূপ দিতে আসে দেরি করেননি ওই তরুণী মডেল।






উ’দ্ভ’ট শখের জেরে এবার দৃষ্টিশক্তি সম্পূর্ণ হারাতে বসেছেন ওই মডেল। একটি চোখ






পুরোপুরিই অ’ন্ধ হয়ে গিয়েছে। আর একটি চোখের দৃ’ষ্টিশ’ক্তিও ক্রমশ ফিকে হচ্ছে।
পোল্যান্ডের এই মডেলের নাম আলেক্সান্দ্রা। বিখ্যাত র্যাপ আর্টিস্ট পোপেক-কে দেখেই এমন শখ হয়েছিল আলেক্সান্দ্রার। তার পরেই ট্যাটু আর্টিস্টের কাছে ছুটেছিলেন তরুণী। আইবল ট্যাটু বা স্কেলেরাল ট্যাটু হচ্ছে এক ভ’য়ান’ক পদ্ধতি। চোখের মণির সাদা অংশে এই পদ্ধতিতে ট্যাটু আঁকা হয়। ফলে যিনি ট্যাটু করাচ্ছেন, তার চোখের রঙের প্রায় পুরোটাই ব’দলে যায়। তবে এমন ট্যাটু করার ফলে পরবর্তীকালে ঠিক কী কী হতে পারে, সে সব অজানাই রয়েছে।
ডেলি মেলের একটি রিপোর্ট অনুসারে, চোখের মণিতে ট্যাটু করার কয়েকদিন পর থেকেই অসহ্য য’ন্ত্র’ণা অনুভব করেন বছর পঁচিশের আলেক্সান্দ্রা। স্থানীয় এক ট্যাটু আর্টিস্টকে দিয়েই উ’ল্কি আঁ’কিয়েছিলেন তরুণী। তার কাছে গিয়েই অ’ভিযো’গ জানান আলেক্সান্দ্রা। তবে ওই ট্যাটু আর্টিস্ট তাকে ক্র’মাগ’ত বোঝাতে থাকেন যে, এই ব্য’থা হওয়া একদম স্বাভাবিক। চোখের মণিতে ট্যাটু করলে এমনটা একটু হবেই। ব্যথা কমানোর জন্য আলেক্সান্দ্রাকে বেশ কিছু পেন’কিলার ওষুধও খেতে দেন ওই ট্যাটু আর্টিস্ট।
ইতিমধ্যেই জেল হয়েছে ওই ট্যাটু আর্টিস্টের। শরীরের বাকি অংশে যে কালি দিয়ে ট্যাটু আঁকা হয়, সেই কালিতেই চোখের মণিতে ট্যাটু এঁকেছিলেন ওই আর্টিস্ট। সেই কালি চোখের সং’স্পর্শে আসার ফলেই মা’রা’ত্মকভাবে ইনফে’কশন ছড়িয়ে গিয়েছে তরুণী মডেলের চোখে। তিনবার অ’পারে’শন হয়ে গিয়েছে তার। সব রকম চেষ্টা করে শেষপর্যন্ত হাল ছেড়েছেন চিকিত্সকরা। জানিয়ে দিয়েছেন, কোনওভাবেই দৃষ্টি ফেরা সম্ভব নয়।
কারণ চোখের বিভিন্ন শিরা-উপশিরা-টিস্যুতে ঢুকে গিয়েছে ওই রং। এখনও আব’ছাভাবে চোখে দেখতে পাচ্ছেন আলেক্সান্দ্রা। তবে পুরোপুরি দৃষ্টিশ’ক্তি হা’রিয়ে অ’ন্ধ হওয়ার আ’শ’ঙ্কাও রয়েছে। ভ’য়ে-আ’ত’ঙ্কে তাই সিঁটিয়ে রয়েছেন তরুণী। বলছেন, ‘আমার যে কী মা’রা’ত্মক ক্ষ’তি হল, তা বলে বোঝাতে পারব না। এখন তো তাও হা’ল্কাভাবে দেখতে পাচ্ছি। যে কোনওদিন অ’ন্ধ হয়ে যেতে পারি। চিকিত্সকরাও জ’বাব দিয়ে দিয়েছেন। খুব ভ’য়ে রয়েছি।’