





সিনেমার পর্দায় আমরা বহুবার ছবির নায়ক এবং নায়িকাকে পালিয়ে বিয়ে করতে দেখেছি। শুধু রুপোলি






পর্দার প্রয়োজনেই নয় সত্যিকারের জীবনেও এমন বেশ কিছু তারকা আছেন যাঁদের পালিয়ে বিয়ে






করতে হয়েছে । আজকে রইলো সেইরকম পাঁচ দম্পতির গল্প যারা বাড়ির অমতে পালিয়ে বিয়ে করেছেন।






আমির খান ও রীনা দত্ত
আমির খান-জুহি চাওলা অভিনীত ’ কয়মত সে কয়মত তক ’ ছবিতে ওঁরা দুজন পালিয়ে যান বিয়ে করার জন্য । রিয়েল লাইফেও এমনটা করেছিলেন আমির খান। উনি ওঁর ছোটবেলার প্রেমিকা রীনা দত্তের সঙ্গে পালিয়ে যান । আমির যেদিন ২১ বছরে পা দেন সেদিন উনি ওঁর প্রতিবেশী রীনাকে প্রপোজ করেন। আমির যেহেতু অন্য সম্প্রদায়ের তাই রীণার পরিবার ওঁদের সম্পর্কের বিরুদ্ধে ছিলেন। তাই অগত্যা ১৮ এপ্রিল ১৯৮৬ সালে পালিয়ে বিয়ে করেন ওঁরা। আমির-রীণার দুই সন্তানও জন্মায় জুনেইদ এবং ইরা । কিন্তু ১৬ বছরের দাম্পত্য জীবন শেষ করে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায় ওঁদের।
সোহেল খান এবং সীমা সচদেব
সালমানের ছোট ভাই অভিনেতা-প্রযোজক সোহেল খানের প্রেম কাহিনি কোন অংশে কোন মশালা ছবির থেকে কম ছিল না। সোহেল যেহেতু মুসলিম ছিলেন তাই সীমার পরিবার ওঁদের বিয়ের বিরুদ্ধে ছিলেন। সোহেল সীমাকে নিয়ে পালিয়ে যান। যেদিন ওঁর প্রথম পরিচালিত ছবি ’প্যায়ার কিয়া তো ডরনা কিয়া ’ মুক্তি পায় সেদিন। এক সপ্তাহ বাদে বিয়ে করে নেন ওঁরা।
সীমা যেহেতু পাঞ্জাবী তাই সকালে ওঁদের আর্য সমাজের মতে বিয়ে হয় এবং সেই দিন সন্ধেবেলায় নিকাহ হয় ওঁদের। পরে অবশ্য সীমার পরিবার এই বিয়ে মেনে নেন। ওঁদের দুই সন্তান আছে নির্বাণ এবং যোহান।
পদ্মিনী কোলহাপুরে এবং প্রদীপ শর্মা
পদ্মিনীর সঙ্গে প্রযোজক প্রদীপের আলাপ হয় ’ অ্যায়সা প্যায়ার কাঁহা ’ করতে গিয়ে। আলাপের কিছুদিনের মধ্যে দুজনে প্রেমে পড়েন । কয়েকবছর প্রেম করার পর বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন ওঁরা।
পদ্মিনীর মা বাবার কিন্তু প্রথম থেকেই প্রদীপকে পছন্দ ছিল না। ওঁরা মেয়ের বিয়ে মোটামুটি একজন শিল্পপতির সঙ্গে প্রায় ঠিক করে ফেলেছিলেন। এই পরিস্থিতে পদ্মিনী এবং প্রদীপ পালিয়ে যান । ১৯৮৬’র ১৪ অগাস্ট এক বন্ধুর বাড়িতে বিয়ে করেন ওঁরা। ওঁদের এক পুত্র আছে প্রিয়াঙ্ক।
শম্মি কাপুর এবং গীতা বালি
দুজনের আলাপ হওয়ার চার মাসের মাথায় শম্মি এবং গীতা বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু দুই পরিবারই এই বিয়ের বিরুদ্ধে ছিল। তাই ২৪ অগাস্ট দুজনে পালিয়ে মুম্বাইয়ের বনগঙ্গা মন্দিরে বিয়ে করে নেন। প্রযোজক-পরিচালক হরি ওয়ালিয়া ওঁদের বিয়ের সাক্ষী ছিলেন।
জে পি দত্ত এবং বিন্দিয়া গোস্বামী
এই ভারতীয় প্রযোজক-পরিচালক প্রচুর দেশাত্মবোধক এবং অ্যাকশন ছবি বানালেও মনের দিক দিয়ে কিন্তু প্রচন্ড রোম্যান্টিক। উনি তখনকার দিনের অভিনেত্রী বিন্দিয়া গোস্বামীর প্রেমে পড়েন। বিন্দিয়া কিন্তু তখন অভিনেতা বিনোদ মেহরার সঙ্গে বিবাহিত। যদিও এই বিয়ে চার বছরের বেশি টেকে নি। বিবাহ বিচ্ছেদের পর উনি জানতে পারেন জে পি ওঁকে বিয়ে করতে চান। তাই দুজনে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন।