





অসংখ্য হিট-সুপারহিট ছবি দিয়ে ইন্ডাস্ট্রিকে করেছেন সমৃদ্ধ। যাকে বাংলাদেশের মানুষ এক নামেই






চেনেন। তিনি শাবনূর। বর্তমান সময়ে চলচ্চিত্র থেকে বহু দূরে ’দুই নয়নের আলো’ খ্যাত গুণী এই






অভিনেত্রী। কিন্তু ভক্তরা তাকে এখনও স্মরণ করেন। গতকাল রোববার (১৭ ডিসেম্বর) ছিল তার






৩৭তম জন্মদিন। আর এই দিনে ছেলের ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। নিজের ভবিষ্যৎ






পরিকল্পনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভবিষ্যৎ নিয়ে অনেক পরিকল্পনা। চলচ্চিত্র বানাবো, নিজেও কাজ করবো। তাছাড়া আমার একমাত্র ছেলে আইজান এবার চার বছরে পা দিচ্ছে। ওকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করে মানুষের মতো মানুষ হিসেবে তৈরি করতে চাই।
আইজান যদি চলচ্চিত্রে কাজ করতে চায়, তাহলে আপনি মত দেবেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে শাবনূর বলেন, কে কখন কি করে সেটা আগে থেকেই বলা মুশকিল। আমি আগে কখনোই জানতাম না যে চলচ্চিত্রের নায়িকা হবো। পাইলট হতে চেয়েছিলাম, হলাম নায়িকা। চলচ্চিত্রে কাজ করবে কি; করবে না, এটা ওর (আইজান) একান্তই ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমার দায়িত্ব আইজানকে পড়াশোনা করিয়ে মানুষের মতো মানুষ হিসেবে প্রস্তুত করে দেওয়া। ও যদি চলচ্চিত্রে কাজ করতে চায়, তাহলে করবে।
জীবনের সেরা/স্মরণীয় জন্মদিন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আলাদা করে বলা কঠিন। তবে একবার মতিন রহমান পরিচালিত ’এই মন চায় যে’ ছবির সেটে অবাক করা একটা ব্যাপার ঘটে। ছবিটির শ্যুটিং চলছিল এক জমিদার বাড়িতে। তখন আমাকে না জানিয়ে জন্মদিনে বাড়ির ভেতরে, সিঁড়িতে মোমবাতি ও ফুল দিয়ে সাজানো হয়। কেক এনে শ্যুটিং ইউনিটের সবাই মিলে আমাকে সারপ্রাইজ দেন। সে দিনটির কথা এখনও মনে পড়ে।
অভিনয়ে ফেরা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখনই চাইলে কিছু কাজ শুরু করতে পারি। কিন্তু আমি বেশ মোটা হয়ে গেছি। এ অবস্থায় পর্দায় ফিরতে চাচ্ছি না। তাই স্লিম হয়ে নিজেকে ঠিক করে আবার অভিনয় শুরু করবো। প্রস্তুতিও নিচ্ছি।