





২০১২ সাল থেকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও উগ্র বৌদ্ধরা মুসলমানদের ওপর জুলুম নির্যাতন






চালিয়ে যাচ্ছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে তারা রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংস গণহত্যা ও তাদের সম্পদ লুটের






মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। আর এমন ভয়ংকর নির্যাতনের শিকার হয়ে প্রতিদিন বাংলাদেশে আসছে হাজার হাজার রোহিঙ্গা। আর এই নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের দুঃসময়ে পাশে সারা বিশ্বের মানবিক মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছেন সবাই। ব্যক্তিগতভাবে দেশের চলচ্চিত্র নির্মাতা, অভিনেতারাও রোহিঙ্গা হত্যার বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছেন, কিন্তু এবার রোহিঙ্গা ইস্যুতে রাস্তায় নেমে মানবন্ধন করলেন চলচ্চিত্রের আঠারো সংগঠন নিয়ে গঠিত চলচ্চিত্র পরিবার।
মিয়ানমারে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলার মানুষ। আর এবার তাদের পাশে দাঁড়িয়ে মিয়ানমার সরকারের উদ্দেশ্যে রোহিঙ্গা নির্যাতন ও হত্যার প্রতিবাদে রাস্তায় নামলো বাংলা চলচ্চিত্র পরিবার। এবার তারা সঙ্গে পেলো হাজারো সাধারাণ মানুষ। সোমবার সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে রোহিঙ্গা হত্যা প্রতিবাদে এ মানববন্ধন চলাকালীন সময়ে এমন দৃশ্যই চোখে পড়ে।
রোহিঙ্গা নির্যাতন বন্ধের এই মানবন্ধনে এসময় উপস্থিত ছিলেন আহ্বায়ক চিত্রনায়ক ফারুক, শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর, সহ-সভাপতি রিয়াজ, চিত্রনায়ক রুবেল, সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান, ফেরদৌস, রোজিনা, সাইমন, শান আরাফ, মহাসচিব বলিউল আলম খোকন, বজলুর রশিদ চৌধুরী, মোহাম্মদ হোসেন জেমি প্রমুখ।
এসময় বক্তারা রোহিঙ্গা ইস্যুটি দ্রুত সমাধান করতে জাতিসংঘের কাছে আহ্বান জানান এবং মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সুচিকে একজন পুতুল হিসেবে আখ্যা দেন। বিশেষ করে মিঞা ভাই খ্যাত চিত্রনায়ক ফারুক সুচিকে পুতুল বলে আখ্যা দিয়ে তার বক্তব্যে বলেন, মিয়ানমারের নেত্রী সুচি হচ্ছেন একজন পুতুল। আর পুতুলের হাতে কখনো নোবেল পুরস্কার দিতে নেই। ধিক্কার জানাই এমন নিষ্ঠুর সরকার প্রধানকে।
রোহিঙ্গাদের দুঃসময়ে শেখ হাসিনা পাশে থাকায় তাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে ফারুক আরো বলেন,বাপদাদার ভিটেমাটি থেকে রোহিঙ্গাদের উচ্ছেদ করে দেয়া হয়েছে। তারা প্রাণ বাঁচাতে বর্ডার ক্রস করে আমাদের দেশে আসছে। রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য দেশনেত্রী শেখ হাসিনাকে সাধুবাদ জানাই।