





বয়স প্রায় ৭০। পথ চেয়ে আছেন তিনি। তার ‘আলতা ভাই’ এসে তাকে আদুরে গলায় ডাকবেন – কেমন আছিস সফিরন?






নায়করাজ রাজ্জাকের বোন সফিরন বিবি। থাকেন কলকাতার নরেন্দ্রপুর কারবালা রোডের কুসুম্বা মাঝেরপাড়ায়। স্বামী মহসীন মণ্ডল মারা গেছেন কয়েক বছর আগে। এখন তিন ছেলে নিয়ে সেখানেই থাকেন তিনি।
সফিরনের ছেলে আবদুল হাই মণ্ডল জানান, মঙ্গলবার সকালে মামার মৃত্যুর খবর শুনে মা শুধু কাঁদছেন আর বলছেন, আলতা দাদা, তুমি আর আসবে না?
আবদুল হাই মণ্ডল বলেন, মা ও রাজ্জাক মামা ছিলেন পিঠাপিঠি ভাইবোন। তাই দু’জনের মধ্যে সম্পর্কও ছিল ভালো। ছোটবেলায় তাদের বাবা-মা মারা যাওয়ার পর বড় ভাইয়ের সংসারে খুব কষ্টে মানুষ হয়েছিলেন দু’জন। পেট চালানোর জন্য ঘরে চানাচুর তৈরি করে বিক্রি করতেন। সেই সঙ্গে তার ছিল নাটকের নেশা।
টালিগঞ্জের স্টুডিওপাড়ায় চলে যেতেন সিনেমায় অভিনয় করার জন্য। সেসব কথা মায়ের কাছে শুনেছি। ১৯৬৪ সালের দাঙ্গার সময় তার বাড়িঘর লুট হয়ে যায়। তখন মামা বাধ্য হয়ে মামি আর বড় ছেলেকে নিয়ে ঢাকায় চলে যান।
আবদুল হাই আরও বলেন, মামা খুব ভালো মানুষ ছিলেন। মামা ভালো গানও করতেন। কলকাতায় এলে আমাদের বাড়িতে আসতেন। শিশুদের খুব ভালোবাসতেন। তাদের নিয়ে খুব মজা করতেন।
ভারতের স্বাধীনতার পর চবি্বশ পরগনা জেলার গড়িয়ার নতুনহাট থেকে দক্ষিণ কলকাতার নাকতলা অঞ্চলে বসবাস শুরু করেন আকবর হোসেন মোল্লা। তার ছয় ছেলেমেয়ের মধ্যে ছোট ছেলে আবদুর রাজ্জাক আজকের নায়করাজ রাজ্জাক।