





দীর্ঘদিন ধরে টিভিনাটকে অভিনয় করছেন সজল। ছোটপর্দার জনপ্রিয় এ অভিনেতা






নিজের মেধায় জায়গা করে নিয়েছেন দর্শক ও নির্মাতাদের হৃদয়ে।






ছোটপর্দার গণ্ডি পেরিয়ে এখণ উঁকি মারছেন বড়পর্দায়। বৃহস্পতিবার তার দুটো নাটক






প্রচারিত হচ্ছে টিভিতে। ১৬ আগস্ট থেকে চিত্রনায়িকা মাহির বিপরীতে দ্বিতীয় চলচ্চিত্র ‘হারজিৎ’-এর শুটিংয়ে দেখা যাবে তাকে।
বরাবরই অন্যরকম চরিত্রগুলোতে দেখা যাচ্ছে সজলকে। অদ্ভুত গল্প পেলে লুফে নেন তিনি। বেছে বেছে কাজ করছেন তিনি। চরিত্রের প্রয়োজনে অন্যরকম দৃশ্যে অভিনয় করতে তার কোনো আপত্তি নেই।
এবারের অনাকাঙ্ক্ষিত সত্য সিরিজটা পরিচালনা করছেন শ্রাবণী ফেরদৌস। তিনি সজলের খুব কাছের বন্ধু। তার কারণেই কাজটা করা। এ পর্বের নাটকের গল্পটা একজন সুপারস্টারের গল্প।
সুপারস্টারের চরিত্রে অভিনয় করছেন সজল। অন্যটি ‘রূপের গন্ধে অন্ধ চাতক’। এটি পরিচালনা করেছেন তাসলিমা মুক্তা। এখানে অন্ধ ভিক্ষুক হিসেবে দেখা যাবে সজলকে।
অন্ধ ভিক্ষুকের চরিত্রে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন এমন প্রশ্নের জবাবে একটি গণমাধ্যমকে তিনি জানান,
মিরপুরের বস্তিতে শুটিং করেছি। একজন রিকশাওয়ালা সালাম ভাইয়ের বাসায় ক্যাম্প করেছিলাম। সেখানে শুটিংয়ের খাবার দাবার ছিল।
তিনি জানান, সালাম ভাইয়ের বাসায় মাটির চুলায় রান্না করা খাবার দেখে আমরা লোভ সামলাতে পারিনি। আমি আর মৌসুমী তার বাসায়ই খেয়েছিলাম তিনদিন।
‘যদি কাজের অভিজ্ঞতা বলি, এক কথায় অসাধারণ। এক্সপেরিমেন্টাল কাজের জন্য সবারই মেন্টালি প্রিপারেশন থাকে। আমি বেশ সময় নিয়ে ভেবেছি চরিত্র নিয়ে। শুটিংয়ের ক’দিন আগে ডিরেক্টরের সঙ্গে ঢাকা শহরের অন্ধ ফকিরদের ফলো করেছি।
ফার্মগেট, মিরপুরে ঘুরেছি। মিরপুরে যে লোকেশনে কাজটা করছি সেটাও খুব সুন্দর ছিল। অন্ধ ফকিরের চরিত্রে শুটিংয়ের সময় কেউ চিনতেই পারেনি। এমনও হয়েছে- দোকানে চা খেয়েছি, ভিক্ষুক ভেবে দোকানি দাম নেয়নি’।
তিনি জানান, অনেক দূরে ক্যামেরা সেট করে একবার ভিক্ষার শুটিং করছিলাম। ১০ মিনিটের মধ্যে দেখি গামলায় ৭০০ টাকা জমা পড়েছে। সাধারণ মানুষ আসলে ভিক্ষুক ভেবে টাকাগুলো দিয়ে গেছে।
ছোটপর্দা আর বড়পর্দা সব প্রজেক্টেই খুব সিরিয়াসলি কাজ করেন সজল। সিনেমার ক্ষেত্রেও একই চেষ্টা থাকবে তার। বাকিটা দর্শকের ওপর।
সজল জানান, কোনোকিছু সহজে করি না। পারিবারিক বলয়ের মধ্যদিয়ে বড় হয়েছি। ব্যক্তিগত যেকোনো খারাপ কাজের ফলাফল পরিবারের ওপরে আসে। এ ধরনের স্কুলিং নিয়েই বেড়ে উঠেছি। এমন কিছু করবো না যেটা আমার পরিবারের ওপর প্রভাব ফেলে।