





চিত্রনায়িকা রত্নার নামের সঙ্গে এবার যুক্ত হতে যাচ্ছে নতুন পরিচয়। ‘অ্যাডভোকেট’ হিসেবে পরিচিত হতে






যাচ্ছেন তিনি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন ঢাকা ক্যাপিটাল ল কলেজ থেকে ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষে






এলএলবি পরীক্ষা দিয়েছিলেন রত্না। ১৯শে মে প্রকাশ হয় এ পরীক্ষার ফলাফল। পাসকৃত পরীক্ষার্থীদের






মধ্য থেকে রত্না মেধা তালিকায় তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন। সে সূত্রে তার জীবনে যোগ হয়েছে নতুন মাত্রা।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মেধা তালিকায় তৃতীয় স্থান অর্জন করেছি। স্বপ্ন সত্যির পথে আমার। অনেক আগে থেকে স্বপ্ন ছিল ভালো একজন ‘অ্যাডভোকেট’ হবো। সমাজের সেবা করবো।
আমার নানু অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে থাকা অবস্থায় মানসিক চাপ নিয়ে আমি পরীক্ষা দিয়েছিলাম। এত ভালো রেজাল্ট হবে ভাবতে পারিনি। আমার চেষ্টার পাশাপাশি মা-বাবা, আর ভক্ত-দর্শকদের ভালোবাসা ও দোয়া সঙ্গে ছিল বলেই আমি সফল হতে পেরেছি।
নিজের এ ফলাফলের জন্য রত্না ক্যাপিটাল ল কলেজের অধ্যক্ষ অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির এবং অ্যাডভোকেট জুয়েল স্যারকে ধন্যবাদ জানাতেও ভুল করেননি।
তিনি বলেন, স্যারদের সহযোগিতা ছাড়া এ অর্জন সম্ভব ছিল না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজকর্মে মাস্টার্স সম্পন্ন করার পর আইন বিষয়ের ওপর বিশেষ দুর্বলতা থাকায় এলএলবি কোর্সে ভর্তি হয়েছিলাম। আইন বিষয়ে সফলতার সঙ্গে পাস করাতে আজ আমি ভীষণ আনন্দিত।
এদিকে, রত্না অভিনীত ও প্রযোজিত সবশেষ ছবি ছিল শাহিন-সুমনের পরিচালনায় ‘সেদিন বৃষ্টি ছিল’। এ ছবিতে নবাগত নায়ক সুমিত ও অভির বিপরীতে অভিনয় করেন তিনি।
আর তার অভিনীত আরও কিছু ছবি মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। এ ছবিগুলো হচ্ছে ‘কাঁসার থালায় রুপালি চাঁদ’, ‘অরুণ বরুণ কিরণ মালা’, ‘নষ্ট মুন্না’ ও ‘পরান পাখি’। ‘তামান্না ফিল্মস’ নামে একটা প্রোডাকশন হাউজও আছে এ অভিনেত্রীর। সেখানেও সময় দিতে হয় তাকে।
এ প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে নতুন ছবি প্রযোজনা করবেন কি-না জানতে চাইলে রত্না বলেন, চলচ্চিত্রের হালচাল এখনও ভালো না। সুদিন আসে কি-না সেই অপেক্ষায় রয়েছি। অনেকদিন হলো নিজে নতুন ছবির জন্য একটা গল্প লিখেছি। ত্রিভুজ প্রেমের এ গল্পটিতে অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজনা করারও ইচ্ছে রয়েছে আমার। চলচ্চিত্রের সুদিন ফিরে আসুক এটা আমার শুধু না, সবার চাওয়া। আর আমার বিশ্বাস, খুব শিগগিরই হলের সংস্করণ, পাইরেসিসহ যেসব প্রতিবন্ধকতা রয়েছে সেগুলোর সমাধান হবে।
রত্না বর্তমানে নিজের আইন ক্যারিয়ার নিয়েও ভাবছেন। সদ্য আইন বিষয়ে পাস করা এ অভিনেত্রী চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি কারো অধীনে ল প্র্যাকটিস করবেন বলেও জানালেন।
রত্না আইন পেশা নিয়ে বলেন, অভিনেত্রী হিসেবে চলচ্চিত্রে কাজ করার দুবর্লতা ছিল এবং সবসময়ই থাকবে। আগের মতো ভালো গল্পের ছবিও কম হয় আমাদের দেশে।
আর যেহেতু আইন পেশার সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছি সেজন্য এ বিষয়ে উচ্চশিক্ষা নেয়ারও ইচ্ছে রয়েছে। তাই বর্তমানে আইন প্র্যাক্টিস করাটাই আমার এখন মূল টার্গেট। কার অধীনে আইন প্র্যাক্টিস করবো সেটা এখনই বলতে চাই না। এটাও একটা চমক থাকবে। খুব শিগগিরই এটা জানাবো।
২০০২ সালে প্রথম সেলিম আজম পরিচালিত ‘কেন ভালোবাসলাম’ ছবিতে ফেরদৌসের বিপরীতে অভিনয় করেন রত্না। এরপর কাজী হায়াতের ‘ইতিহাস’, নায়করাজ রাজ্জাকের প্রযোজনায়
‘মরণ নিয়ে খেলা’, শাহীন-সুমনের ‘নষ্ট’, মোহাম্মদ হান্নানের ‘পড়ে না চোখের পলক’সহ বেশ কিছু দর্শকপ্রিয় ছবি উপহার দেন এই অভিনেত্রী। বর্তমানে দূরে থাকলেও চলচ্চিত্রের প্রতি তার রয়েছে অনেক প্রেম ও শ্রদ্ধা। তিনি বলেন, চলচ্চিত্রের মানুষ আমি। চলচ্চিত্রের পাশাপাশি আইন পেশাতেও নিজেকে সংযুক্ত করতে চাই। মানুষের জন্য যতদিন পারি কাজ করে যেতে চাই। -এমজমিন