





বাংলা সিনেমার অবস্থা করুণ হলেও বাংলা নাটকের অবস্থা বেশ ভালো বাংলাদেশের এবং ধারাবাহিক






নাটকগুলো ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় বাংলাদেশ সহ পার্শ্ববর্তী দেশগুলোকে এবং পৃথিবীর প্রায় সব দেশের






বাংলা ভাষাভাষী মানুষদের কাছে বাংলা নাটকের অন্য একটি কদর রয়েছে। বাংলা নাটকে যারা অভিনয়






করছেন নিয়মিত ভাবে কিংবা নতুন যারা কাজ করছেন তারা খুবই সম্ভাবনাময় অভিনেতা এবং তাদের
অভিনয় এর নিপুণতা ব্যাপক। নিজেদেরকে তারা প্রতিহত ছাড়িয়ে যাচ্ছে এবং আরো ভালো ভালো কাজ উপহার দিচ্ছে মানুষকে
সোনাইমুড়ির বজরা নামের একটা জায়গায় শুটিং হচ্ছিল। বজরায়, জিয়াউল হক পলাশের (কাবিলা) নানাবাড়ির পুকুর ঘাটে আর বজরা রেলওয়ে স্টেশনে শুটিং করতে গিয়ে দর্শকদের ’ভালোবাসার চাপে পড়তে হয়েছিল আমাদের। হাজার হাজার মানুষ…।
এমন অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়ে ব্যাচেলর পয়েন্টের ’পাশা ভাই’ মারজুক রাসেল বলেন, ’ আমি তখন খুলনায় থাকি।
অনেক বছর আগের কাহিনী―শুনলাম কণ্ঠশিল্পী তপন চৌধুরী আমার নানুবাড়ির অঞ্চল গোপালগঞ্জে,বঙ্গবন্ধু কলেজে(তখন কলেজ ছিল) নবীনবরণ অনুষ্ঠানে আসবেন। শোনামাত্রই অন্যরকম একটা অনুভূতি হইতে লাগলো নিজের ভিতর; প্রিয় কণ্ঠশিল্পীদের একজন এত কাছাকাছি আসবেন,গান করবেন,আমি তারে সামনাসামনি দেখতে পারবো…এইরকম নানান উত্তেজনা ক্যারি কইরা নবীনবরনের একদিন আগে গোপালগঞ্জ চলে গেলাম, তপন চৌধুরীকে দেখলাম,গান শুনলাম,তাঁর সাথে হ্যান্ডশেক করতে পারলাম… ,কয়েকজন অচেনা মিলে ভাগে ফটো স্টুডিয়ো থিকা একজন ফটোগ্রাফার আইনা ভিড়ের ভিতর ছবি তুললাম; অ্যানালগ আমলের সেই ছবি অনেক বছর আমার সাথে থাইকা ধূসর হইয়া গেছিল! যাইহোক, এই অনুভূতিটা আমি বুঝি। মানুষের এই উচ্ছ্বাস আমাকে উচ্ছ্বসিত করে, নস্টালজিক করে।’
’এই যে এতমানুষ এত ভালোবাসা, এসব আমি টের পাই। তাই আমি প্রটোকল থেকে বের হয়ে যতটুক পারছি ভক্তদের সঙ্গে ছবি তোলার,কথা বলার,সঙ্গ দেবার চেষ্টা করছি। অনেকের সঙ্গে ছবি তুলতে পারিনি, কাছে যেতে পারিনি; এটার জন্য সূক্ষ্ম দুঃখবোধ কাজ করছে, সেটা ফিল করছি।’
মারজুক রাসেল বলেন, ’চট্টগ্রাম, ফেনী, লক্ষ্মীপুর থেকে অনেকে এসে হোটেলে উঠেছে, ব্যাচেলর পয়েন্টের শুটিং ,কলাকুশলীদের সামনে থেকে দেখবে বলে ।
রাত ১০টা/১১টায় শুটিং শেষ হবার পরেও জেগে থাকার আগ পর্যন্ত খেয়াল করি রাত ২/৩টায়ও আমাদের বাংলোর চারপাশে দর্শকভক্তদের ভিড় আর নাটকের চরিত্রদের নাম ধরে ডাকাডাকি, সংলাপ বলা, দেখা করতে চাওয়া ,ছবি তুলতে চাওয়ার আবেদন,অনুরোধ। বিশাল বাংলো, চারিদিকে দেয়াল, উপরে কাঁটাতার দেয়া, সেই কাঁটাতার উপেক্ষা করে অনেকে ঢুকে পড়ছে ভিতরে।’
তিনি বলেন, ’রাস্তায় শুট করার জন্য বের হয়ে দেখি মুহুর্মুহু মিছিল, সবার মুখে ব্যাচেলর পয়েন্টের বিভিন্ন সংলাপ ,মুখস্থ। ’এএএএএএএ’ ’পাশা ভাই পাশা ভাই’, ’কাবিলা ভাই কাবিলা ভাই’ ’আঁর মা নোয়াখালীর চেয়ারম্যান’ ’হাবু হাবু’ ’শুভ শুভ’ ’আই ওয়ানা কিস ইউ’ ’তোমার রান্নার হাতটা একটু দ্যাকবো’ ’ডেস্কাউন্ট’-জাতীয় সংলাপগুলাকে মিছিল বানায়া ফেলছে তারা ।
কাজল আরেফিন অমি পরিচালিত ব্যাচেলর পয়েন্ট ধারাবাহিকটি দেশের দর্শকদের মধ্যে আলোড়োন তৈরি করেছে। দেশ-বিদেশের বাংলাভাষী দর্শকদের একটি বড় অংশ এর প্রতিটি পর্ব দেখার জন্য উন্মুখ থাকেন।
সম্প্রতি ব্যাচেলর পয়েন্টের ইউনিট নোয়াখালীতে শুটিং করতে যায়। শুটিঙের সময় ও এর আগের বেশকিছু ভিডিও নির্মাতা ও ইউনিটের অনেকেই প্রকাশ করেছেন। যেখানে মারজুক রাসেলের কথার যথার্থতা মেলে। মোট ৫ দিন শুটিঙের তিন দিন সোনাইমুড়ির বিভিন্ন জায়গায় সম্পন্ন হয়, বাকি দুইদিন যাওয়া-আসার পথে।
মারজুক রাসেল ছাড়াও ব্যাচেলর পয়েন্টে অভিনয় করেছেন মিশু সাব্বির,পলাশ, চাষী আলম, মনিরা মিঠু, সাবিলা নুর,মুসাফির সৈয়দ,মুকিত জাকারিয়া,আব্দুল্লাহ রানা, ফারিয়া শাহরিন–সহ অনেকে।
নাটকের গল্পে কাবিলার (জিয়াউল হক পলাশ) মা নোয়াখালীর চেয়ারম্যান। এই এলাকার রোকেয়া,জাকির, রতন, অন্তরা চরিত্রগুলোর দেখা পর্দায় না পাওয়া গেলেও নাটকটির দর্শকদের কাছে তারা পরিচিত নাম। সেই চরিত্রগুলোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ২/১ জনের দৃশ্যধারণ করতেই পুরো ইউনিট নিয়ে নির্মাতা কাজল আরেফিন অমি নোয়াখালী যান।
বর্তমান যুব সমাজের অন্যতম পছন্দের একটি নাটক হলো ব্যাচেলর পয়েন্ট মূলত হাস্যরসাত্মক ধরনের এই নাটকটি এবং এখানে অভিনয় করেছেন তরুণ প্রজন্মের বেশ কয়েকজন জনপ্রিয় অভিনেতা এবং এই কারণেই মূলত এই নাটকটি ব্যাপকভাবে যুব সমাজকে আকৃষ্ট করতে পেরেছে তবে এটি একটি ধারাবাহিক নাটক এবং এই নাটকটি মূলত কোন টিভি চ্যানেলে মুক্তি দেওয়া হয়নি এবং এটি সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে দেওয়া হয়েছে