Home / মিডিয়া নিউজ / ঘুম নেই, খাওয়া নেই, আমার সব অহংকার ধূলায় মিশে গেছে : শাওন

ঘুম নেই, খাওয়া নেই, আমার সব অহংকার ধূলায় মিশে গেছে : শাওন

মানুষ বাঁচে তার স্বপ্ন আশা নিয়ে তবে অতীত মানুষের জীবনে বড় একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে

সর্বদা। মানুষ যতই চিন্তা গরু প্রতি ভুলে সামনের দিকে ভবিষ্যতের চিন্তা ভাবনা নিয়ে এগিয়ে যাবে

কিন্তু অতীত সর্বদা মানুষকে পেছনের কথা গুলো মনে করিয়ে দেয়। বিশেষ করে যাদের আপন জন

হারিয়ে যায় তারা এটি হাড়ে হাড়ে টের পায়। আপনজন হারানোর ব্যথা কুরে কুরে খায় তাদের। প্রতিনিয়ত মনেপ্রাণে তাদের স্মৃতি দোলা দিতে থাকে। সম্প্রতি হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন অতীতের এমন আবেগঘন বিষন্নতা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন।

প্রতি ৩ মাসে আমার একটা depression attack হয়। ৪/৫ দিন স্থায়ী সেই সময়টাতে এলোমেলোর চুড়ান্ত ধাপে আমি থাকি।
ঘুম নেই।

খাওয়া নেই।

গোসল নেই।

সারাদি—ন বিছানায়! মাথার ভেতরটা থাকে একদম ফাঁকা! কারো ফোন ধরতে ইচ্ছা হয় না। ধরিও না।

বাচ্চাদু’টো আমার এই phase এর সাথে অভ্যস্ত। নিষাদ স্বাভাবিক আচরন করার ভাব নিয়ে আমার আশে পাশে ঘুরঘুর করে। আর ছোট্ট বয়সে পৃথিবীর কঠিণ এক বাস্তব দেখা নিনিত একটু পরপর আমাকে নানাবিধ ধারাবাহিক পরামর্শ দিতে থাকে!

– মা চলো আমরা মুভি দেখি!

– মা Ditan খালামনি অথবা Saba আন্টিকে আসতে বলো, তোমরা পার্টি করবা!

– মা তাইলে শাড়ি পরো আমি তোমার ছবি তুলে দেই!

কিছুতেই কাজ হয় না। তারপর স্বাভাবিক নিয়মেই এই বিষন্নতা একদিন কেটে যায়।
এবারের বিষন্নতা পর্যায় যেন কাটতেই চাইছে না… করোনা পরিস্থিতির বিভিন্ন আয়োজনে হাসি হাসি মুখ করে লাইভে আসছি কিন্তু ঐ হাসির পেছনের ডুবন্ত মানুষটাকে টেনে তুলতে পারছি না…

৩ রাত একেবারে না ঘুমানোর পর আজ সকালে Facebook memories এ আসা ছবিটা অনেকের কাছে ’একজন শক্ত যোদ্ধা’ হিসেবে পরিচিত এবং পুত্রদের চোখে ’the strongest mother’ টাইটেল পাওয়া এই আমার সকল অহংকার ধূলায় মিশে গেল। বাথরুমের দরজা বন্ধ করে বেসিনের কলের প্রবাহিত পানির শব্দে আমি কান্না আড়াল করার চেষ্টা করলাম।

কনিষ্ঠ পুত্রের কাছে ধরা পড়ে গেছি।

তাতে কি!

সকালের কান্না আমার এবারের ত্রৈমাসিক বিষন্নতাকে ধুয়ে নিয়ে গেছে। এটাই বা কম কি!

ফেসবুক মেমোরিতে পাওয়া পোস্ট এবং ছবি কৃতজ্ঞতা: Shakoor Majid [২০১২ এর ১১ মে- কোলন সার্জারির আগে চিকিৎসা বিরতি নিয়ে মা, বন্ধুদল আর নুহাশপল্লী দেখতে দেশে ফিরে আসা হুমায়ূন আহমেদ। সে যাত্রায় এয়ারপোর্ট থেকে সরাসরি নুহাশপল্লী যান তিনি! এ ছবিটি শেষবারের মতো দেশে পা রাখবার পরপর এয়ারপোর্টে তোলা।]

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের প্রখ্যাত কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ চলে গেছেন বহু বছর আগে কিন্তু তাঁর সৃষ্টিশীল কর্ম এখনো মানুষের হৃদয়ে বেঁচে আছে বাংলাদেশের মানুষ এখনো শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে থাকে তিনি মূলত বেঁচে আছেন এখনও মানুষের মাঝে তার কর্মের মাধ্যমে তাহার সৃষ্টিশীল লেখা এখনো মানুষকে ভাবতে শেখায় এবং উজ্জীবিত করে মানুষের মনকে। তবে হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন মাঝে মাঝে প্রয়াত স্বামী হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন এবং তাদের বিভিন্ন সময়ে অতীতে ঘটে যাওয়া স্মৃতিগুলো মনে করে বিষন্ন হন

Check Also

আবারও ডি এ তায়েবের নায়িকা মাহি

নতুন আরও একটি সিনেমায় কাজ করতে যাচ্ছেন ঢালিউডের জনপ্রিয় নায়িকা মাহিয়া মাহি। সেই সিনেমার নাম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *