





বলিউডের এই সময়ের সবচেয়ে আলোচিত সুপারস্টার সালমান খান। সর্বশেষ জেল যাপনের সময়ে






তার ভক্তদের কান্ড দেখে যার অনেকটাই আঁচ করা গেছে। বর্তমান সময়ে সালমানের সিনেমা






মানে ব্যবসায়িক রেকর্ড। সালমানের সিনেমার গান মানে ইউটিউবে রেকর্ড। বলা যায়, ক্যারিয়ারের সবচেয়ে ভালো সময়টা কাটাচ্ছেন তিনি।






কিন্তু সব সময় যে সালমানের দিন ভালো গেছে তা নয়। জানলে অবাক হতে হবে, ভারতের জনপ্রিয় এই নায়কের ক্যারিয়ারের এমন কিছু ছবি রয়েছে যার শুরু হয়েছে কিন্তু শেষ হয়নি।
নায়িকার বিয়ের জন্য
১৯৮৯ সালের ঘটনা। সে বছরই বলিউডে আগমন ঘটে সালমানের। ছবির নাম ’ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’। রাজশ্রী প্রোডাকশনের এই ছবি মুক্তির পরে শুধু যে সালমান খান জনপ্রিয় হয়েছেন তা নয়, জনপ্রিয়তার কোঠায় নাম থাকে নায়িকা ভাগ্যশ্রীরও। এই জুটিকে নিয়ে আগ্রহী উঠে প্রযোজকরা। সেই সময়ে ’রণক্ষেত্র’ নামে একটি সিনেমায় নাম লেখান সালমান আর ভাগ্যশ্রী।
বিপত্তি বাধে শুটিং শুরুর আগ মুহূর্তে বিয়ের পিড়িতে বসেন নায়িকা। সিনেমার কাজ পিছিয়ে যায়। এরপর গড়িমসি চলতে থাকে।
একটা সময়ে ভাগ্যশ্রী সাফ জানিয়ে দেন তিনি তার স্বামী ছাড়া অন্য কারো সঙ্গে অভিনয় করবেন না।
কারণ পরিচালক সন্তোসি
১৯৯১ সালে রাজকুমার সন্তোসি ’দিল হ্যায় তুমহারা’ নামে একটি সিনেমার ঘোষনা দেন। ছবিতে সালমানের সঙ্গে কাজ করার কথা ছিল মীনাক্ষী শেষাদ্রি আর সানি দেওলের। কিন্তু ছবির কাজ শুরু করার মুখে সন্তোসি ব্যস্ত হয়ে পড়েন ’বরসাত’ ছবি নিয়ে। ববি দেওল আর টুইঙ্কল খান্নার এই ডেবিউ ছবিতে হাত দেওয়ায় পরবর্তীতে ’দিল হ্যায় তুমহারা’ ছবিটা আর সন্তোষীর করে ওঠা হয়নি!
ঘেরাও হলো না
’দিল হ্যায় তুমহারা’র কাজ থেমে যাওয়ার পরে সালমান খান রাজকুমার সন্তোষীর আরেকটা ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়। সেটার নাম রাখা হয়েছিল ’ঘেরাও’, নায়িকা চুরান্ত করা হয় মনীষা কৈরালাকে। ছবিতে বাজেট সংক্রান্ত কারণে মহরতের পরেই বন্ধ হয়ে যায়।
হলো না দুই ভাইয়ের ছবি
সালমান খান ও আরবাজ খান দুই ভাইকে এই ছবির মাধ্যমে প্রথমবারের মতো একসঙ্গে দেখা যেত। ছবির নাম ’অ্যায় মেরে দোস্ত’। ছবির নায়িকা হিসেবে কাজ করার কথা ছিল দিব্যা ভারতী আর করিশমা কাপুরের। কিন্তু একটা গান রেকর্ড করার পর ছবির কাজ বন্ধ হয়ে যায়। পরে এই একই চিত্রনাট্য নিয়ে যখন কাজের প্রস্তাব ওঠে, তখনই আসে দিব্যা ভারতীর মৃত্যুর খবর! বন্ধ করে দেয়া হয় ছবির কাজ। যে গানটি রেকর্ড করা হয়েছিল, তা যোগ হয় সালমানের ’মঝধার’ নামে অন্য এক ছবির সঙ্গে।
সোমি আলির সঙ্গে প্রেম
এ সেই সময়, যখন সোমি আলির সঙ্গে সালমানের সম্পর্ক নিয়ে ভরে উঠছে সংবাদ মাধ্যমের পাতা। সেই সময়ই তাদের দু’জনকে জুটি করে শুরু হয় ’বুলন্দ’ ছবির কাজ। দুর্ভাগ্য, অর্ধেক শুটিং হয়ে যাওয়ার পরে ছবির কাজ বন্ধ করে দিতে হয়। কেন, তার কোনো স্পষ্ট কারণ জানা যায় না।
বাজেট সমস্যায়
সোহেল খানের পরিচালনা শুরু করতে চেয়েছিলেন সালমান খানকে নিয়ে। চবির নাম ’রাম’। এই ছবিতে সালমান খানের সঙ্গে অভিনয় করার কথা ছিল অনিল কাপুর আর পূজা ভাটের।
শুটিং শুরু করার পরে যখন দেখা যায় বাজেট বেড়েই চলেছে, তখন বন্ধ হয়ে যায় ছবির কাজ।
ক্রাইম থ্রিলারটি হলো না
ঠিক এটাই ভাবা হয়েছিল ছবির টাইটেল হিসেবে। ছবিতে সালমানের সঙ্গে কাজ করার কথা ছিল সুনীল শেঠি, শিল্পা শেঠি আর কাজলের। কথা ছিল, অ্যাকশন স্টান্টে ভরপুর এক ক্রাইম থ্রিলার দর্শককে উপহার দেবেন নির্মাতারা। শেষ পর্যন্ত যদিও দর্শক পান সারপ্রাইজ-মানে ছবির কাজ বন্ধ হয়ে যায়!
পরিচালক গেলেন মারা
১৯৯৭ সালে ’দশ’ নামে একটা ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন সালমান। সঞ্জয় দত্ত, রবিনা ট্যান্ডন, শিল্পা শেঠি অভিনীত ছবিটার পরিচালক ছিলেন মুকুল আনন্দ। শুটিং যখন প্রায় মাঝপথে, তখনই মারা যান পরিচালক। এই দুর্ঘটনায় মর্মাহত হয়ে বন্ধ হয়ে যায় ছবির কাজ।
কেলেঙ্কারিতে ফেঁসে
ছবির নাম রাখা হয়েছিল ’রাজু রাজা রাম’। ডেভিড ধাওয়ানের পরিচালনায় এই ছবিতে রাজু আর রাজার চরিত্রে অভিনয়ের কথা ছিল সালমান আর গোবিন্দার। আর রাম চরিত্রটার জন্য বাছা হয়েছিল জ্যাকি শ্রফকে। কিন্তু শুটিং শুরুর আগেই কেলেঙ্কারিতে ফেঁসে যায় প্রযোজনা সংস্থা। তারপরে আর ছবির কাজ বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া উপায় কীই বা থাকতে পারে!
সব টাকা শেষ
পরিচালক আনিস বাজমির ইচ্ছে ছিল সালমান খানকে নিয়ে একটা পুরোদস্তুর কমেডি ছবি করার। ছবির নাম রাখা হয়েছিল ’আঁখ মিচোলি’। কিন্তু এখানেও সেই এক ব্যাপার, শেষ পর্যন্ত প্রযোজক আর ছবির ব্যয়ভার টানতে পারেননি। ফলে ছবির কাজ অসম্পূর্ণই থেকে যায়।