





চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির শেষ নির্বাচন হয়েছিল ২০১৭ সালের ৫মে। সে হিসেবে দ্বি-বার্ষিক মেয়াদের কমিটির সময়






শেষ হয়েছে চলতি বছর মে মাসে।তবে মে মাসে শেষ হলেও এই নির্বাচন নিয়ে কোন তোরজোর চলছিল






না অবশেষে আগামী ১৮ অক্টোবর নির্ধারিত হল সময় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন।






কিছুটা দেরিতে হলেও সিনেমা পাড়ায় নির্বাচনী হাওয়া লেগেছে। আগামী ১৮ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বি–বার্ষিক নির্বাচন। তাই এফডিসির ক্যান্টিনে, আড্ডায় কিংবা শুটিং ফ্লোরে কাজের ফাঁকে চলছে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা।
অন্যদিকে নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা গোছাতে শুরু করেছেন প্যানেল। ক্ষমতাসীন মিশা সওদাগর–জায়েদ খান আবারও এক প্যানেল থেকে নির্বাচন করবেন বলে জানা গেছে। অন্যদিকে জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা মৌসুমীও ঘোষণা দিয়েছেন সভাপতি পদে প্রার্থী হওয়ার। যদিও আগামী ৪ অক্টোবর তফসিল ঘোষণার পরই প্যানেল ও প্রার্থী সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যাবে।
তবে এফডিসি ঘুরে কয়েকজন শিল্পীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, তারা আসছে নির্বাচনে এমন কাউকে শিল্পী সমিতির নেতৃত্বে দেখতে চান চাইলেই যার নাগাল পাওয়া যায়।
এফডিসির ঝর্ণা স্পটে দাঁড়িয়ে কথা হচ্ছিল শিল্পী সমিতির সদস্য একজন চিত্রনায়িকার সঙ্গে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, শিল্পী সমিতি শিল্পীদের উন্নয়নে কাজ করবে এটাই স্বভাবিক।
এখন যারা সমিতির নেতৃত্বে আছেন তারা চেষ্টা করেছেন ভালো কাজ করতে। তবে সেই কাজ শিল্পীদের উন্নয়নে খুব একটা ভূমিকা পালন করছে না। যতটুকু না উন্নয়ন করা হয়েছে তার থেকে বেশি হাইলাইট করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, সব শিল্পীদের মধ্যে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন গড়ে না উঠলে কাজের কাজ কিছু হবে না। জনপ্রিয় নায়ক শাকিব খান এখানে আসেন না। চিত্রনায়িকা মৌসুমী দূরে সরে গেছেন। ওমর সানিও অখুশি। বর্তমান কমিটির অনেক সদস্য আছেন যারা অসন্তুষ্ট হয়ে প্যানেল থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন। এভাবে আসলে ইন্ডাস্ট্রি চলতে পারে না। এমনিতে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ নেই। তার উপর এতো বিভাজন। এভাবে চলচ্চিত্রের উন্নয়ন সম্ভব নয়।
ওদিকে চিত্রনায়িকা মৌসুমীকে সমর্থন দিতে নারাজ অনেক শিল্পীরা। তারা মনে করেন, মৌসুমী সভাপতি হলে শিল্পী সমিতির অবস্থা আরও খারাপ হবে। তাকে সময় মতো কাজে পাওয়া যাবে না। তিনি মিশতে জানেন না। যে কারণে সাধারন সদস্যদের ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকবেন তিনি, এমনটাই ধারনা তাদের।
ওদিকে চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার মনে করেন, শিল্পী সমিতির নির্বাচনে যারাই নির্বাচিত হোক না কেনো, শিল্পীদের উন্নয়নে কাজ করতে হবে তাদের।
এফডিসির উন্নয়নে সরকার চেষ্টা করে যাচ্ছে। শিল্পীরা সেই উন্নয়নের অংশীদার। নির্বাচনে বিভিন্ন প্যানেল থাকবে। প্যানেলে প্রার্থী থাকবেন। কেউ জিতবেন, কেউবা হারবেন। এটাই তো স্বাভাবিক। তাই বলে শিল্পীদের শিল্পী সমিতি থেকে দূরে সরে যাওয়া ঠিক হবে না। প্রতিটি শিল্পীই প্রতিটি শিল্পীর বন্ধু ও শুভাকাঙ্ক্ষী।
প্রসঙ্গত,২০১১ সালের ২০শে মে অনুষ্ঠিত চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে তিনি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি চলচিত্রের উন্নয়নের জন্য নানা কার্যক্রম হাতে নিয়েছিলেন।এখন অপেক্ষা পরবর্তি সময়ে নতুন কোন মুখ আসবে কিনা তার জন্য।