





এই বছরের শুরুর দিকে রেহানা জলি খুবই অসুস্থ ছিলেন। সেসময় ঠিকমত কথাবার্তা






বলতে পারতেন না। হাঁটাচলা করতে পারতেন না। কাঁপুনি দিয়ে ভীষণ জ্বর আসতো।






কথাও বলতে কষ্ট হতো। আর তাই প্রথমে তার কোন রোগ নির্ণয় করা যাচ্ছিলো না।






কয়েকজন চিকিৎসক দেখানোর পর বক্ষব্যাধি স্পেশালিষ্ট ডাঃ আক্তার বিশ্বাসের মাধ্যমে জানতে পারেন, ফুসফুস ও মেরুদণ্ড ক্ষয়ে যাওয়া রোগে ভুগছেন রেহানা জলি।
এরপর নিয়মিত চেকআপ ও চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে সুস্থ হচ্ছেন জানিয়ে তিনি বলেন, এখন আমি সবার সঙ্গে কথা বলতে পারি। বাসার মধ্যে হাঁটাহাঁটি করি। নিজের কাজ নিজেই করতে পারি। পুরোপুরি সুস্থ হতে আরও মাস দুয়েক লাগবে। এরপর সেপ্টেম্বর মাস থেকে আবার শুটিং শুরু করবো। অনেক পরিচালক আমাকে নিয়ে কাজ করতে চাইছেন। আমি বলেছি সেপ্টেম্বর থেকে কাজ করবো।
সুস্থতা কামনা করে দোয়া চাওয়া ছাড়া আমার আর কিছু বলার নেই উল্লেখ করে রেহানা জলি বলেন, চলচ্চিত্রে অভিনয় করে কিছু টাকা সঞ্চয় করেছিলাম, সব এখন চিকিৎসার পিছনে ব্যয় করতে হয়েছে। আমি সুস্থ হয়ে আবার কাজে ফিরতে চাই, সবাই আমার জন্য প্রাণ ভরে দোয়া করবেন।
রেহানা জলি দীর্ঘদিন মঞ্চ নাটকের সঙ্গেও সম্পৃক্ত ছিলেন। এছাড়া বিজ্ঞাপন চিত্রেও কাজ করেছেন। ১৯৮৫ সাল থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় চার শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।
বুলবুল আহমেদের বিপরীতে কামাল আহমেদ পরিচালিত ’মা ও ছেলে’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মধ্যদিয়ে চলচ্চিত্রে নায়িকা হিসেবে রেহানা জলির যাত্রা শুরু হয়।
প্রথম চলচ্চিত্র অভিনয় করেই ১৯৮৫ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি।